সকাল দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। কালো পতাকা হাতে মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে তুমুল স্লোগান শুরু হয়।
সংগৃহীত ছবি
শেষ আপডেট: 3 July 2025 10:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আগেই উত্তেজনা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। মঙ্গলবার সকালে মালডাঙা এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কিন্তু সভাস্থলে পৌঁছনো মাত্রই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ক্ষুব্ধ জনতা। হাতে কালো পতাকা, ঝাঁটা, তার সঙ্গে ‘গো ব্যাক’, ‘চিটিংবাজ’, ‘তোলাবাজ’ শব্দে উত্তপ্ত হয়ে হয়ে এলাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে প্ল্যাকার্ড ছোড়া হয়, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি কিছুটা ধাক্কাধাক্কিও চলে বলে অভিযোগ। সিদ্দিকুল্লার দাবি, এই ঘটনায় তাঁর হাতের আঙুলে চোট লেগেছে। জামায় রক্তের দাগও রয়েছে। গাড়িতে ডবল কাচ না থাকলে বড় কিছু হয়ে যেতে পারত। ঘটনার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি খুনের চেষ্টার অভিযোগও তোলেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত চার বছরে একবারের জন্যও এলাকার খোঁজখবর নেননি মন্ত্রী। ভোটের সময় এলেই তাঁকে দেখা যায়, তারপর ভ্যানিশ। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা, পানীয় জল, চিকিৎসা ও শিক্ষা পরিষেবায় একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকাবাসী। কিন্তু তার কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁদের দাবি, ২১ জুলাইয়ের রাজনৈতিক প্রচারের আগে স্থানীয় সমস্যাগুলির দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল।
সিদ্দিকুল্লা-সহ তৃণমূলের একাংশের দাবি, এদিন বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী রফিকুল ইসলাম শেখ। এই নেতার অভিযোগ, 'মন্ত্রী তোলাবাজদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঢুকেছেন। সাধারণ মানুষ বা দলের প্রকৃত কর্মীদের দিকে কখনও ফিরেও তাকাননি।'
বিক্ষোভকে যদিও আমল দিতে নারাজ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, 'এরা দলের লোক নয়, বাইরের লোক। ভাড়া করে এনে নাটক করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এতে নেই।' তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। জানান, আইসির সামনে গোটা ঘটনা হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলার শাসক নেতারাও বিষয়টি নিয়ে চুপ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।