শেষ আপডেট: 4th April 2023 11:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জেলবন্দি (imprisoner) প্রেমিকের ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে যুগান্তকারী রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। সূত্রের খবর, উচ্চ আদালতের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন খুনের দায়ে জেলে বন্দি থাকা এক ব্যক্তিকে বিয়ের জন্য ১৫ দিনের প্যারোলে (parole) মুক্তি দিলেন। আদালত তার আবেদন শোনার জন্য খুশি ওই বন্দিও। বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলবন্দি সেই যুবক।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ওই জেলবন্দি নিজের বান্ধবীকে বিয়ে করতে চেয়ে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্টে সেই মামলা ওঠার পর অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী এই আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতে জানান, কোনও বন্দিকে নিজের বিয়ের জন্য প্যারোলে ছাড়া যায় না। তবে এক্ষেত্রে কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি নাগাপ্রসন্নের পর্যবেক্ষণ খানিক আলাদাই ছিল।
আদালতে বিচারপতি বলেন, 'এই বন্দি যদি বিয়ে করতে না পারে, তাহলে নিজের ভালবাসাকে হারিয়ে ফেলবে। আর একজন জেলবন্দির পক্ষে এই যন্ত্রণা সহ্য করা ভীষণই কষ্টের।' এরপরই কারা বিভাগের ডিআইজি এবং পুলিশের চিফ সুপারকে ওই বন্দির প্যারোল মঞ্জুরের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, আগামী বুধবার অর্থাৎ ৫ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল প্যারোল মঞ্জুর হয়েছে তার।
জানা গিয়েছে, খুনের সাজা হিসাবে ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল আদালত। পরে যদিও শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করা হয়। ওই বন্দি ইতিমধ্যে ৬ বছর জেল খেটে ফেলেছে। বাকি আরও চারবছর। এরমধ্যেই সে জানতে পারে, অন্য কোথাও তার বান্ধবীর বিয়ে ঠিক করে ফেলছে বাড়ির লোকজন। এদিকে ন'বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন দু'জন। সম্পর্কের মাঝে এত ঝড়ঝাপ্টা এলেও কেউ কারও হাত ছাড়েননি।
এদিকে বান্ধবী একেই বিয়ে করবেন বলে মনস্থির করে ফেলেন। কিন্তু প্রেমিক যে এখনও জেলবন্দি। কী করবেন বুঝতে না পেরে শেষে যুবকের মা ও সেই প্রেমিকা মিলে কর্নাটক হাইকোর্টে একটি পিটিশন ফাইল করেন। সেখানে যুবকের মা আবেদন করে বলেন, 'ছেলের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর এখনই বিয়ে না হলে এখানেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। মেয়েটির বয়স এখন ৩০ বছর। ওঁর পরিবার আর অপেক্ষা করতে চাইছে না।' এই আবেদনকেই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করে প্যারোল মঞ্জুর করেন বিচারপতি।
নারায়ণপুরে মাকে মেরে থানায় এসে থানায় আত্মসমর্পণ ছেলের! গ্রেফতার করল হতভম্ব পুলিশ