সম্রাট, সৈকত, সাগ্নিক।
শেষ আপডেট: 12th February 2025 10:46
২০০৮ সালে মণিকা দাশগুপ্ত একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম দেন। তাদের বাবা প্রবীর দাশগুপ্ত পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তিন ভাইয়ের আলাদা টান ছিল। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শিক্ষার হাতেখড়ি হয় তাদের। এরপর বর্তমানে তারা পড়ছে খয়েরুল্লা চক নেতাজি বিদ্যামন্দিরে।
এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাদের কেন্দ্র পড়েছে নয়াগ্রাম হাইস্কুল, যা তাদের বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে। বিশেষ বিষয়, তিন ভাইয়ের সিটও পরীক্ষাকেন্দ্রে পাশাপাশি পড়েছে।
পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পরিবারের সদস্যরাও তাদের পাশে রয়েছেন। দু’জন গৃহশিক্ষকের পাশাপাশি বাবা-মাও তাদের নিয়মিত পড়াশোনায় দেখাশোনা করেন। ভবিষ্যতে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তিনজনেরই। তবে পেশার ক্ষেত্রে ভিন্ন স্বপ্ন রয়েছে তাদের। সম্রাট ও সৈকত চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, আর সাগ্নিকের লক্ষ্য পুলিশ আধিকারিক হওয়া।
যমজ হলেও তিন ভাইয়ের ব্যক্তিগত পছন্দ আলাদা। কারও পছন্দ আলাদা টিভি চ্যানেল, কেউ আবার অন্য ধরনের খেলাধুলায় আগ্রহী। টিভির রিমোট কার হাতে থাকবে বা সাইকেল কে চালাবে, তা নিয়ে বাড়িতে মাঝেমধ্যেই খুনসুটি চলে। তবে পড়াশোনার ব্যাপারে তারা একে অপরের পরিপূরক। যে কোনও সমস্যায় একজন আরেকজনকে সাহায্য করে।
তাদের এই দৃঢ়তা ও অধ্যবসায় দেখে গ্রামবাসীদেরও আশা, তারা তিনজনই ভালো ফল করবে এবং ভবিষ্যতে বড় কিছু করবে। পরিবারের পাশাপাশি গোটা গ্রামও তাকিয়ে রয়েছে তাদের সাফল্যের দিকে।