শেষ আপডেট: 24th October 2024 14:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্থলভাগের সঙ্গে দূরত্ব কমছে দানার। উপগ্রহ চিত্র থেকে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শেষ আড়াই ঘণ্টায় আরও ৫০ কিমি এগিয়ে এসেছে দানা।
এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ২১০ কিলোমিটার, ধামারা থেকে ২৪০ কিলোমিটার ও সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। যদিও কিছু পর্যটক দানাকে পাত্তা দিতে নারাজ। বৃহস্পতিবার সকালে দিঘার ছবিটা তাই বলছে। 'ভয়কে মিতে' করে করে সক্কাল সক্কাল দিঘা-তাজপুর-মন্দারমণিতে জড়ো হয়েছেন বহু পর্যটক।
প্রশাসন মাইকে বারবার ঘোষণা করলেও সমুদ্রের ধারে সেলফিতে ডুবে প্রত্যেকেই। তাঁদের সরাতে রীতিমতো লাঠিচার্জের খবরও সামনে এসেছে। সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও হুঁশ নেই পর্যটকদের।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল ভাগ। তাজপুরের জলধা এলাকায় আতঙ্ক বাড়াল ভাঙন। বৃহস্পতিবার ভোরে সমুদ্র ফুঁসে উঠতেই ভাঙন শুরু হয় তাজপুরের জলধা এলাকায়। চোখের পলকে সমুদ্র লাগোয়া জমি তলিয়ে যাচ্ছে। সকালবেলা ভাঙনের এই ছবি দেখেই ঘুম ছুটেছে এলাকার বাসিন্দাদের।
এই ভাঙন কবলিত এলাকায় বাস প্রায় আটশো মানুষের। তাঁরা সকলেই মৎস্যজীবী। আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পরেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এই এলাকার মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে এনেছে প্রশাসন। কিন্তু ঘরে ফিরেও স্বস্তিতে নেই তাঁরা।