শেষ আপডেট: 29th October 2024 17:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম মেদিনীপুর: আশেপাশে নেই কোনও শুকনো জায়গা। গ্রামগুলির প্রান্তে যেখানে এতদিন মৃতদেহ দাহ করা হত, সেই সব জায়গা ভেসে গেছে। তাই দেহ সৎকার করতে জল পেরিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরের শ্মশানে পৌঁছতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে। সামনে এল বানভাসি ঘাটালের দুর্দশার আরেক চিত্র।
প্রতি বছরই বর্ষায় বানভাসি হয় ঘাটাল। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হল না। ঘূর্ণিঝড় দানা ভোগান্তি বাড়াল আরও। কোথাও কোমর জল তো কোথাও হাঁটুজলে ভাসছে ঘাটাল। রোজের যন্ত্রণা তো রয়েইছে মৃতদেহ সৎকার আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে প্লাবিত এলাকার মানুষদের কাছে।
ঘাটালের আচার্য পল্লী এলাকায় সোমবার রাতে মারা যান কিরীটী রঞ্জন আচার্য নামের এক বৃদ্ধ। তারপরেই দেহ সৎকার করতে দুর্ভোগ চরমে ওঠে পরিবারের লোকজনের। গ্রামে যেখানে দেহ দাহ করা হয়, সেই জায়গা ভেসে গেছে। শুকনো জায়গা খুঁজতে রীতিমতো বেগ পেতে হল মৃতের পরিবারের লোকজনদের। মৃতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, "জলযন্ত্রণা এমনিতেই আমরা ভোগ করছি, তার উপর বাড়তি সমস্যা হল মৃতদেহ সৎকার। যে জায়গায় মৃতদেহ সৎকার করা হয় সেখানে পৌঁছনো কার্যত অসম্ভব। তাই জল পেরিয়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে মৃতদেহ নিয়ে যেতে হচ্ছে দূরবর্তী শ্মশানে।
এই পরিস্থিতিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা উঠলেই তাই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন এলাকার মানুষ।
দুদিন আগে ডেবরার জল যন্ত্রণার ছবি সামনে এসেছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় টিউবে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল ১০ দিন আগে মা হওয়া এক মহিলাকে। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতে হইচই পড়ে যায় গোটা জেলায়। কিন্তু তাঁরা এতেই অভ্যস্থ বলে জানান ডেবরা ব্লকের ৫/১ অঞ্চলের বাড়াগড় এলাকার বাসিন্দারা। কারণ অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর হাঁটু সমান জল হয়ে যায়। তখন এলাকায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভাবেই টিউবের উপর বসিয়ে রোগীকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। দু'দিন পরে জল যন্ত্রণার অন্য ছবি সামনে এল ঘাটালে।