শেষ আপডেট: 20th October 2024 17:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: এবার পাঁশকুড়া শহর তৃণমূলের সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র। তিনি পাঁশকুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি পাঁশকুড়া শহর তৃণমূলের সভানেত্রীর পদেও ছিলেন।
কয়েকদিন আগে সৌমেন মহাপাত্রকে মন্ত্রিত্বের পদ থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি পদ সহ দলের কয়েকটি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি এখন শুধুই তমলুকের বিধায়ক পদে রয়েছেন। আরজি কর কাণ্ডের পরে এই ঘটনায় সৌমেনবাবুর ডাক্তার ছেলেকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বির্তকিত পোস্ট ছড়িয়েছিল। ছেলে বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন সৌমেনবাবু। এই ঘটনা নিয়ে সৌমেনবাবুর স্ত্রী সুমনাদেবীও সরব হয়েছিলেন। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের একাংশ জড়িত রয়েছে বলেই অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। এরপরেই মন্ত্রিত্ব থেকে দলের একাধিক পদ খোয়াতে হয় সৌমেনবাবুকে। এবার আচমকাই দলের সাংগঠনিক পদ ছাড়লেন সুমনাদেবীও। তবে কী কারণের তিনি পদ ছাড়লে তাই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সভানেত্রীর পদত্যাগে নিয়ে সুমনা মহাপাত্রের দাবি, আরজি কর কাণ্ডের সময়ে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। সুমনাদেবীর কথায়, “আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে আমার পদত্যাগের চিঠি দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানানো হবে। তাই তাঁরা চুপ থাকায়, আমি সেটিকে সম্মতির লক্ষ্মণ হিসেবে ধরে নিয়েই এবার প্রকাশ্যেই পদত্যাগের কথা জানালাম। তবে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও একজন সাধারণ তৃণমূলের কর্মী হিসেবেই থাকতে চাই।”
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠিক জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ফোনে সুমনা মহাপাত্র তাঁকে পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি ব্যস্ততার কারণেই তিনি পদ ছাড়ছেন। এরপরে কোনও অন্য সমীকরণ নেই। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূলে বহু আগেই ভাঙন ধরেছে। রুচিশীল মানুষজন তৃণমূলে থাকতে রাজি নন, এটা আজ প্রমাণিত।