মাধ্যমিকের অ্যাডমিট নিয়ে স্কুলে শিক্ষকদের মির্টিং
শেষ আপডেট: 6th February 2025 19:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: মাধ্যমিকে বসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল এক পরীক্ষার্থীর। স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন অভিভাবকরা। গাফিলতির কথা স্বীকার করে স্কুলের পক্ষ থেকে পর্ষদের কাছে কাতর আবেদন ছাত্রীকে পরীক্ষার বসার ব্যবস্থা করে দিন।
আর কয়েক দিন পরেই শুরু হচ্ছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগেই অ্যাডমিট কার্ড হাতে না পাওয়ায় আদৌ পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা অনিশ্চয়তায় ভুগছে এক পরীক্ষার্থী ও তার পরিবার। তমলুকের রাজকুমারী শান্তনাময়ী গার্লস হাইস্কুলের স্বস্তিকা মাইতি নামে দুই ছাত্রী পড়াশোনা করত। মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময়ও স্কুলে দুই স্বস্তিকা মাইতির রেজিস্ট্রেশন করলেও কিছুদিন পরেই স্কুল ছাড়ে এক স্বস্তিকা মাইতি। যার বাবার নাম মানস মাইতি।
এই বছরই প্রথমবার অনলাইনে এনরোলমেন্ট শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার। অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপ করার সময় যে স্বস্তিকা মাইতি স্কুল ছেড়েছে তার জায়গায় ভুলবশত বর্তমানে ওই স্কুলে পাঠরত স্বস্তিকা মাইতির ফর্ম ফিল-আপ করে ফেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপরে বর্তমান পাঠরত স্বস্তিকা মাইতি স্বাক্ষর করার সময় পাশে অভিভাবকের নাম ভুল থাকা সত্ত্বেও স্বাক্ষর করে দেয়।
গত ৩০ জানুয়ারি স্কুলে সমস্ত পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড আসে। পরদিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার সময় সেই ভুল সামনে আসে। দেখা যায়, যে স্বস্তিকা মাইতি ইতিমধ্যেই স্কুল ছেড়েছে তার অ্যাডমিট কার্ড এসেছে যেখানে বর্তমানে পাঠরত স্বস্তিকার স্বাক্ষর রয়েছে। এরপরেই কোন কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পর্ষদে ছুটে যান স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা সহ ২ সহকারী শিক্ষিকা। প্রথমে কিছুটা আশ্বাস পেলেও কোনও কাজ না হওয়ায় দফতরে মেল করে পুরো বিষয়টি জানান প্রধান শিক্ষিকা। তারপরেও এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে এমন পরিস্থিতিতে ঘোর অনিশ্চয়তায় ভুগছে এই পরীক্ষার্থী ও তার পরিবার। স্বস্তিকার বাবা শ্যামল মাইতি বলেন, "মাধ্যমিক পরীক্ষা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সাফল্য আনতে অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল মেয়ে। স্কুলের এমন গাফিলতিj জেরে আদৌ এখন ও পরীক্ষায় বসতে পারবে কিনা বুঝতে পারছি না।"
এই বিষয়ে স্কুলের যে গাফিলতি রয়েছে সে কথা স্বীকার করে নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা আদক। তিনি বলেন, "আমরা ভুল বুঝতে পারার পরেই সমস্ত রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে ওই ছাত্রী এ বছরই পরীক্ষার বসতে পারে। এবছর পরীক্ষায় না বসলে ওই ছাত্রীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই বোর্ডের কাছে আবেদন করব আমাদের আর একটা বারের জন্য শুধু সুযোগ দেওয়া হোক।"