শেষ আপডেট: 6th October 2024 16:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: পটাশপুরের ধর্ষণ খুনের ঘটনা সামনে আসার পরেই চাঞ্চল্য কর দাবি করেছেন 'নির্যাতিতা' পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, দুই প্রতিবেশীকে 'ঘনিষ্ঠ' অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন ওই বধূ। তাই এমন পরিণতি।
আত্মীয়রা জানিয়েছেন, গত ৪ অক্টোবার দুপুরের বাড়ির পিছনে মাঠে গরু-ছাগল চড়াতে গেছিলেন ওই বধূ। সেখানেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় 'কয়েকজন'। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আত্মীয়দের অভিযোগ, মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ায় 'গ্যাঁজলা' বের হচ্ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সেই খবর পৌঁছন মাত্র তেতে ওঠে পটাশপুরের ওই গ্রাম। অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়। এক ঘণ্টা ধরে সুখচাঁদ নামে ওই ব্যক্তিকে মারধর করতে থাকে। তাকে লাঠিপেটা করে আশঙ্কজনক অবস্থায় ফেলা রাখা হয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে সুখচাঁদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তারপরে মৃত বধূর আত্মীয়রা দাবি করেন, সুখচাঁদ ও ওই মহিলা দূর সম্পর্কের আত্মীয়। দুজনের বাড়ির দূরত্ব বেশি নয়। দু-মিনিটের হাঁটা পথে। আত্মীয়দের অভিযোগ, সুখচাঁদের সঙ্গে গ্রামের এক মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের ঘনিষ্টভাবে দেখে ফেলেছিল 'নির্যাতিতা'। এই গোপন কথা যাতে ছড়িয়ে না পরে তাই পথের কাঁটা সরাতেই সুখচাঁদ ওই বধূকে ধর্ষণ করে খুন করে। মৃতার আরও এক আত্মীয়ের দাবি, এই ঘটনা সুখচাঁদ একা ঘটায়নি একাধিক লোকজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দুটি-ই অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘটনা। আইনী প্রক্রিয়া মেনে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’