সুপ্রকাশ গিরির সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী
শেষ আপডেট: 10th December 2024 17:32
অভিজিৎ মান্না, দিঘা
১৫ ডিসেম্বর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোট নিয়ে সোমবার পুর্ব মেদিনীপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকার দলীয় বিধায়কদের বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে সমবায় ভোট সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরিকে। মেঘ যে কাটছে, ইঙ্গিতটা মিলেছিল তখনই। মঙ্গলবার দিঘায় গিয়েও ফের অখিল গিরি ও তার পুত্র সুপ্রকাশ গিরির উপরেই আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রকাশ গিরি জানালেন, জগন্নাথ মন্দিরের বেশ কিছু দায়িত্ব তাঁর উপরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কপ্টার থেকে নেমে হেলিপ্যাড ময়দানের এক পাশে দাঁড়িয়ে সুপ্রকাশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিন দুপুরেই দিঘায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাডে নেমেই অখিলপুত্র সুপ্রকাশ গিরির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মমতা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। মূল যে উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা সফরে গিয়েছেন সেই জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা বলেছেন সুপ্রকাশকে। বেশ কিছু দায়িত্ব নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দিঘা সফরে এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি থাকবেন বলেও জানালেন সুপ্রকাশ।
সুপ্রকাশ গিরি বর্তমানে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের দুই সভাপতি পীযুষ পন্ডা ও অসিত ব্যানার্জি সহ কয়েকজন জেলা নেতা উপস্থিত ছিলেন। তারা একরকম গুরুত্ব পেলেন না বলেই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহল। কারণ এই দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে বদল নিয়ে জল্পনা চলছে। মূলত অধিকারী পরিবার তৃণমূল থেকে সরে যাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতি নিয়ে সব সময়ই সতর্ক তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। পরপর বেশ কিছু গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য়ে এসেছে। এমনকি মারামারি পর্যন্ত সামলাতে হয়েছে।
সম্প্রতি পটাশপুরের বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষে পড়েছেন বলেও খবর। তাই উত্তম বারিকের অনুগামীদের আজ হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দেখা গেলেও উত্তম বারিককে সেখানে দেখা যায়নি।
কয়েক মাস আগে বন দফতরের মহিলা আধিকারিককে কটু কথা বলার পর মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় অখিল গিরিকে। তারপর থেকেই উত্তম বারিককে পরপর অনেক দায়িত্ব দিয়েছিল দল। আড়ালেই ছিলেন অখিল গিরি। কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী অখিল গিরিকে যে একেবারে দূরে সরিয়ে দিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বার্তাই মিলল মুখ্যমন্ত্রীর এবারের দিঘা সফরে।