শেষ আপডেট: 24th October 2024 13:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল ভাগ। তাজপুরের জলধা এলাকায় আতঙ্ক বাড়াল ভাঙন। বৃহস্পতিবার ভোরে সমুদ্র ফুঁসে উঠতেই ভাঙন শুরু হয় তাজপুরের জলধা এলাকায়। চোখের পলকে সমুদ্র লাগোয়া জমি তলিয়ে যাচ্ছে। সকালবেলা ভাঙনের এই ছবি দেখেই ঘুম ছুটেছে এলাকার বাসিন্দাদের।
এই ভাঙন কবলিত এলাকায় বাস প্রায় আটশো মানুষের। তাঁরা সকলেই মৎস্যজীবী। আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পরেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এই এলাকার মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে এনেছে প্রশাসন। কিন্তু ঘরে ফিরেও স্বস্তিতে নেই তাঁরা। তাঁদের কথায়, "বিপদ থেকে বাঁচাতে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আমাদের। কিন্তু ঘরেও এখন নিরাপত্তা নেই। সকাল থেকেই সব গিলে নিচ্ছে সমুদ্র। আমাদের ঘর যদি ভাসিয়ে নিয়ে যায়, কোথায় দাঁড়াব আমরা।"
জলধা এলাকায় ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কীভাবে এই সমস্যার দ্রুত করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
দানার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি যাতে বেশি না হয়, তারজন্য দিঘা-মন্দারমনি-তাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও প্রশাসনের নজরদারি চলছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। মোটের উপর ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে হোটেলগুলি। তাও বেশ কিছু অতি উৎসাহী পর্যটক ঘুম কাড়ছে প্রশাসনের। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতি ঝড়েই গাছ পড়ে বিপদ বাড়ে। এই সম্ভাবনা রুখতে এবার আগে থেকেই দিঘা-মন্দারমনি এলাকায় প্রাচীন বেশ কিছু গাছের ডাল ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হলদিয়া বন্দরের কাজকর্মও।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়াও বয়ে যাচ্ছে কখনওসখনও। যত বেলা গড়াচ্ছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি রুখতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে প্রশাসন।