শেষ আপডেট: 11th January 2025 18:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গয়না বন্ধক দিয়ে নাকি সরকারি স্কুলের ফি জোগাড় করতে হচ্ছে অভিভাবকদের! এমনই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার একটি স্কুলে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ফি বাবদ দেড় হাজার টাকা করে চাওয়া হচ্ছে স্কুল থেকে। সেই খবর চাউর হতেই পাঁশকুড়ায় ব্র্যাডলি বার্ড হাইস্কুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ফ্যাসাদে পড়ে তিন দিনের মধ্যেই টাকা ফেরৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাইস্কুলের ক্ষেত্রে ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়ন বাবদ ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে বছরে এককালীন সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা নেওয়া যাবে।
এও বলা হয়েছে যে যদি কোনও পড়ুয়া সেই ফি দিতে না পারে, তাহলে তার সেই ফি মকুব করা হবে। সেই সরকারি নির্দেশকে কার্যত লবডঙ্কা দেখিয়ে পাঁশকুড়ার এই স্কুল ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য মোটা টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা।
অনেকেই এরকম আছেন, যাঁদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা থাকে না। তাঁদের পক্ষে দেড় হাজার টাকা দেওয়া মুখের কথা নয়। এক অভিভাবকের কথায়, 'আমি ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাই। এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, তাই বাধ্য হয়ে স্ত্রীর হাতের পলা বিক্রি করে স্কুলের ফি মেটাই।
অন্য এক অভিভাবকের অভিযোগ তো অবাক করা। তাঁর কথায়, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে টাকার পাশাপাশি নাকি চার বস্তা সিমেন্টও চাওয়া হয়েছে। এই টাকা দিতে অস্বীকার করলেই স্কুলের তরফে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস কামিল্লা এ ব্যাপারে সাফাই দিয়ে বলেন, 'ছাত্রদের অনুষ্ঠান, সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে আলো, মিউজিকের জন্য এই ফি নেওয়া হয়। যেহেতু একসঙ্গে নিলে পড়ুয়াদের জন্য চাপ হয়ে উঠছে তাই ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।'