শেষ আপডেট: 6th February 2025 19:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে ধরাশায়ী বিজেপি। এগরার আলংগিরি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূল প্রার্থীদের। ১২টি আসনের ১২টিই দখল করল শাসকদল। আগেই দু'টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে রাজ্যের শাসকদলের মনোনীত প্রতিনিধিরা। তাই এদিন দশটি আসনে নির্বাচন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এগরা ১ ব্লকের আলংগিরিতে নির্বাচন শুরু হয়। বিকেল না গড়াতেই সব ক'টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। মোট আসন সংখ্যা ১২। মোট ভোটার ছিল ৩৯৩ জন। ভোট পড়েছে ৩৮০ টি।
এখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি মুখোমুখি লড়াই হয়েছে। ভোট গণনার পর দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস ১২ টি আসনে জিতেছে। বিজেপি কার্যত খাতা খুলতেই পারেনি। পরপর সমবায় নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আগেই বেশ কয়েকটি সমবায় নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। আর এখানে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুরসভার নির্বাচনেও হেরেছে। তার আগে বা পরে সমস্ত নির্বাচনেই হারতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। এই বিষয়ে জেড়থান অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শান্তনু মাইতি বলেন, "এই জয় থেকেই এটা প্রমাণ হয় যে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। উন্নয়নের সঙ্গে আছে।"
পূর্ব মেদিনীপুরে ধীরে ধীরে সংগঠন কি দুর্বল হচ্ছে বিজেপির? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এই এলাকায় বিজেপির ব্লক স্তরের বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগদান করেন। পাশাপাশি বিজেপির জেতা এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতিও চলে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। তাই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর এগরার সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভোটে ঘাসফুল শিবিরের জয় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে এগরা ১ ব্লকের বিজেপি নেতা তাপসকুমার দে বলেন, "আলংগিরি সমবায় সমিতির নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছি। কিন্তু ঐ সমবায় বহুদিন ধরে ওরা দখলে রেখেছে। তাই তাঁরা নিজেদের লোককে বসিয়েছে, নিজেদের নতুন ভোটার তৈরি করেছে। ওরা কোনও রকম উন্নয়ন চায় না, ওরা ভোটের রাজনীতি বোঝে, তাই এভাবেই রাজ্য জুড়ে নিজেদের ভোটার দিয়ে নির্বাচন করে জিতছে। আমরাও চেষ্টা করেছি। সামান্য ব্যবধানে ভোটে হেরেছি। এটা কোনও গণভোটও নয়। তবে ছাব্বিশ সালে গণভোট হবে। সাধারণ মানুষ বুঝে গেছে কাকে নির্বাচিত করতে হবে।"