শেষ আপডেট: 22nd September 2024 19:18
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, পশ্চিম মেদিনীপুর: ব্লু টি-শর্ট সঙ্গে ব্লু জিনস। সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট। এভাবেই স্পিডবোট নিয়ে ত্রাণ হাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। তাঁর সঙ্গে দেখা গেল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খানকেও। বন্যার্তদের শুকনো খাবার জল, ত্রিপল, বেবি ফুড বিলি করলেন তাঁরা।
ডিভিসি জল ছাড়ায় ভেসে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলির একাংশ। ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা গিয়েছে সেখানে। বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন দুর্গতরা। তবে ঘাটালবাসীর জন্য এটা নতুন ঘটনা নয়। প্রতিবছর নদীর জল বেড়ে যাওয়া ভেসে যায় এলাকা। রাজ্য সরকার বন্যা প্রতিরোধ করতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদ করে। ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গেলেও, প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। এই নিয়ে বিরোধীরা খোঁচা দিতেও ছাড়েন না। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে সামনে রেখেই লড়াই হয়েছিল। এবছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাংসদ দেব। এবার ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাংসদকে।
এবিষয়ে দেব বলেন, "ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পাঁচ বছরের একটি পরিকল্পনা। আগামী জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে।" বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করা নিয়ে তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ বলেন, “বছরের পর বছর বন্যার সময় ঘাটালের মানুষ খুবই কষ্টে থাকে। এখনও জলে ডুবে রয়েছে বাড়ি ঘর। এতে কষ্টে রয়েছে মানুষ। তাদের কাছে যাতে দ্রুত খাবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণের সামগ্রী পাঠানো যায় সেই চেষ্টা চলছে।” ভিডিসি রাজ্য সরকারের বিবাদ নিয়ে দেব বলেন, “এখন কেন্দ্র-রাজ্য ঝামেলা করে লাভ নেই। এখন যেটা দরকার মানুষকে কিভাবে আমরা বাঁচাতে পারি। সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
দেবের সঙ্গে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে করেছেন মন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি বলেন, "যতোটা বোটের দরকার আমরা ব্যবস্থা করেছি। মানুষের যা প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা পুরণের চেষ্টা করা হবে।”