শেষ আপডেট: 7th November 2024 16:17
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: দীঘাগামী ট্রেনে কাটা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল মা ও শিশুর। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তি ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের সামনে মরণঝাঁপ দেয় ওই বধূ।
হেঁড়িয়ার রেল স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গৃহবধু মমতা গিরির বয়স ২৭ বছর। শিশুটির বয়স ৬। দুর্ঘটনার খবর জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে গৃহবধুর বাবার বাড়ির লোকজন।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা অছিলায় অত্যাচার করা হত ওই বধূকে। ওই বধূর কাকা গোপালচন্দ্র দাস জানান, দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসায় বসার কথা হয়েছিল। এলাকার পঞ্চায়েত কেও জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে চরম অত্যাচারের মুখে এমন ঘটনা ঘটালেন তার ভাইজি। গোপালবাবুর অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্বামী বাপন গিরি- সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনদের বিরুদ্ধে।
দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ ওই বধূ ও তাঁর সন্তানের দেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রেললাইনে পড়ে থাকে। রেলস্টেশন লাগোয়া গ্রাম জরানগরের বাসিন্দা ছিলেন মমতা। গ্রামবাসীরাও জানাচ্ছেন এমন ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও অনভিপ্রেত। যদি আত্মহত্যা করে থাকেন তাও কাম্য নয়। শিশুকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠলেও,পুলিশ এও জানিয়েছে, তাঁরা কোনওভাবে ট্রেনে কাটা পড়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর তা বোঝা যাবে।