শেষ আপডেট: 30th January 2025 13:31
অভিজিৎ মান্না, কাঁথি (পূর্ব মেদিনীপুর)
মহাকুম্ভে গিয়ে নিখোঁজ জুনপুট কোস্টাল থানার ছোটবাঁধতলিয়ার বাসিন্দা প্রণবকুমার জানা। বয়স ৭৫। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেল খোঁজ নেই ওই ব্যক্তির। উদ্বেগে ঘুম গিয়েছে পরিবারের সদস্যদের। বৃদ্ধের খোঁজে ইতিমধ্যেই মহাকুম্ভের পথে রওনা দিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তির ছেলে আনন্দ জানা।
যাওয়ার আগে আনন্দ জানান, তিনি কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সৌমেন্দু অধিকারী প্রয়াগের প্রশাসনকে মেল করে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছেন।
গত সোমবার কলকাতার বাসিন্দা এক আত্মীয় বলাই দাসের পরিবারের সঙ্গে প্রণবকুমার জানা কুম্ভ মেলায় রওনা হন। মঙ্গলবার গাড়িতে কাপড়চোপড় রেখে স্নান করতে গিয়েছিলেন। তাঁর দলের অন্যরা ফিরে এলেও এখনও পর্যন্ত পবন কুমার জানার কোনও খোঁজ নেই। জানা গিয়েছে, তাঁর খোঁজ পেতে ঘনঘন সেখানে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। কিন্ত তাতে ফল মেলেনি কোনও।
বৃহস্পতিবার ভোরে মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেন প্রণববাবুর ছেলে আনন্দ। তিনি বলেন, "বাবার খোঁজ না পাওয়ায় ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছি। তাই মহাকুম্ভ যাচ্ছি। জানি না বাবাকে আর ফিরে পাব কিনা। তবে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।"
এর মধ্যেই খবর মিলেছে, কলকাতার পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে কুম্ভে গিয়ে। ছেলে, মেয়ে ও নিজের বোনের সঙ্গে বাসন্তী পোদ্দার নামের বিজয়গড় লাগোয়া অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা ওই মহিলা গেছিলেন পুণ্যস্নানে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আচমকা হুড়োহুড়ি শুরু হলে বাসন্তীদেবী কোনওভাবে পড়ে যান। তখনই তাঁর মৃত্যু হয়। মেদিনীপুরের এক প্রৌঢ়ারও মহাকুম্ভে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। খড়গপুর থেকে দুই মেয়ে-জামাই, বউমা এবং এক নাতনিকে নিয়ে প্রয়াগরাজে গিয়েছিলেন শালবনির বাসিন্দা বছর ৭৮-এর উর্মিলা ভুঁইয়া। ত্রিবেণী সঙ্গমের সামনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।