শেষ আপডেট: 28th February 2024 22:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ কম নেই। একে একে গ্রেফতারও হয়েছেন তাবড় ব্যক্তিত্বরা। ইডি, সিবিআই তদন্ত করছে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। এরই মধ্যে স্কুলে অবৈধ নিয়োগ নিয়ে নড়চড়ে বসেছে সরকার।
এই বিষয়ে সব জেলার ডিআইদের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে তাঁদের অবৈধ নিয়োগ সম্পর্কে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। তার আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা পরিদর্শক সব হেড মাস্টারদের বৈঠকে ডেকেছেন। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি।
সব জেলার ডিআই-দের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রধান শিক্ষক সংগঠন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস বা এএসএফএইচএম-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল দ্য ওয়াল। তিনি বলেন, ''এই দফতরগুলি নিজেরাই নিয়োগকারি সংস্থা হিসাবে ছিল। এরাই নিয়োগকর্তা। এরা আবার ডিআই-দের কাছ থেকে জানতে চাইছে। এদিকে ডিআই আবার স্কুলগুলির কাছে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলির তো কোনও দায়িত্ব নেই। তারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ছাড়া কোনও নিয়োগ নেয়নি। এখন তাঁদের কাছে তথ্য চেয়ে সময় নষ্ট করা হচ্ছে।''
চন্দনের কথায়, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা কী করে বুঝবেন কার চাকরি অন্যায় ভাবে হয়েছে! প্রকৃত নিয়োগের বাইরে যারা আছেন সবাই জাল। সেই ভুয়োদের বেতন দিচ্ছে সরকার তথা শিক্ষা দফতর। সবটাই শিক্ষা দফতরের নজরে রয়েছে। তিনি দ্য ওয়াল-এর প্রতিনিধির কাছে আদালত সম্পর্কেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''স্কুল কাউকে নিয়োগ দেয়নি। অথচ তাদের কাছে তথ্য চেয়ে বিব্রত করা হচ্ছে। অন্যদিকে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। তার নিষ্পত্তি কবে হবে। প্রতিবার একেক রকম নির্দেশে জটিলতা বাড়ছে।'' তাঁর খোঁচা, অনেকবার তথ্য চাওয়ার পরেও দুধ আর জল আলাদা করা গেল না।
ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চন্দন মাইতি। বলছেন, অবিলম্বে সকল শূন্য পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী নিয়োগ জরুরি। আদালত থেকে হোক, কোনও বৈঠক থেকে হোক, সমস্যার সমাধান চাই। এইভাবে চলতে থাকলে একটা গোটা প্রজন্ম ধ্বংসের পথে চলে যাবে। ইডি, সিবিআই, কোর্ট না চেয়ে, তাঁরা নিয়োগ চাইছেন। স্পষ্ট কথা, শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।