মেডিক্যাল ছাত্রীর দেহ উদ্ধার আগ্রায়, মাথায়-গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, ধৃত ডাক্তার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবার মর্মান্তিক ঘটনা যোগী রাজ্যে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণ, খুনের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। কখনও তেরো বছরের মেয়ের চোখ উপরানো, জিভ কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে ঝোপের ধার থেকে, আবার কখনও ধর্ষণের পরে নাবালিকার সার
শেষ আপডেট: 19 August 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবার মর্মান্তিক ঘটনা যোগী রাজ্যে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণ, খুনের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। কখনও তেরো বছরের মেয়ের চোখ উপরানো, জিভ কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে ঝোপের ধার থেকে, আবার কখনও ধর্ষণের পরে নাবালিকার সারা শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সিগারেটের ছ্যাঁকায়। এবার আগ্রায় এক মেডিক্যাল ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সারা শরীরে ক্ষতের দাগ। মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ।
আগ্রার মেডিক্যাল কলেজ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে ওই ছাত্রীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল বুধবার সকালে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর পরিবার নিখোঁজ ডায়রি করেছিল। মঙ্গলবার থেকেই খোঁজ মিলছিল না ছাত্রীর। কলেজে যাওয়ার পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আগ্রার পুলিশ অফিসার বাবলু কুমার জানিয়েছেন, ছাত্রীর পরিবার অপহরণ ও খুনের মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। মৃতার পরিবারের দাবি, ওই ডাক্তার মেয়েটিকে নানাভাবে হেনস্থা করত। গত কয়েকদিন ধরেই হুমকিও দিচ্ছিল। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লখনৌ থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে জালোন শহরে ওই ডাক্তারের ক্লিনিক রয়েছে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাও দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল ও তার আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মেয়েটির মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সারা শরীরে মারধরের ছাপও স্পষ্ট। পুলিশ জানাচ্ছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরেই বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
হাপুর, লখিমপুরের, গোরক্ষপুর সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। কিছুদিন আগেই, গোরক্ষপুরের একটা ইটভাটার কাছ থেকে এক নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের পরে মেয়েটির সারা শরীর সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এর আগে লখিমপুর জেলায় ১৩ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে খবর মেলে। পুলিশ জানায়, মেয়েটির উপরে নারকীয় নির্যাতন চালায় অপরাধীরা। কিশোরীর চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল, জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও ধরা পড়েছে দু’জন।
হাপুর জেলায় বছর ছয়েকের একটি মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তিনজন। ওই শিশুটির অবস্থাও সঙ্কটজনক। মেরঠের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন। হাপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ধৃতের নাম দলপত। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে এই দলপত পুলিশের নাগালে আসে। তার আগে অভিযুক্তের স্কেচ প্রকাশ্যে এনে তল্লাশি শুরু করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। দলপতের ছবি সামনে এনে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দলপত ধরা পড়ার পরে পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায়। পাল্টা তার পায়ে গুলি করে পুলিশ। দলপতকে জেরা করে বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।