শেষ আপডেট: 18 December 2023 14:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুকুর বোজানো বন্ধ করতে আগেই পুরসভার তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। তারপরেও পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে লরিতে করে আর্বজনা নিয়ে গিয়ে পুকুর বোজানোর কাজ চলছিল বলে অভিযোগ পেয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে শহরের রাজপথে অভিযানে নেমেছিলেন ফিরহাদ। মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে রাস্তায় আর্বজনার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেল কলকাতার মেয়রকে। হাতেনাতে ধরলেন পাঁচটি গাড়িও। গাড়িগুলিকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পুলিশের ভূমিকায় নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি ববি।
ফিরহাদের কথায়, “এইভাবে যদি আমাদের একা পলিউশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, পুকুর বোজানোর বিরুদ্ধে এটা তো অসম্ভব। পুলিশ কমিশনারকে বলব- কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করুন। তা না হলে জয়াশয় বোজানোর রোগ আটকানো যাবে না।”
শহরে বহু পুরনো বাড়ি ভেঙে সেখানে তৈরি হচ্ছে বহুতল। পুরনো বাড়ির ভাঙা আর্বজনা পুকুরে ফেলার প্রবণতা রয়েছে একাংশের। এই ধরনের প্রবণতা রুখতে এবং পুকুর বোজানো ঠেকাতে ইতিমধ্যে বিশেষ প্লান্ট বানিয়েছে পুরসভা।
ফিরহাদ বলেন, “সিএনডি প্লান্ট বসিয়েছি। কেউ বাড়ি ভাঙলে সেখানে আর্বজনা ফেলবে। তারপরেও এতগুলো আবর্জনার গাড়ি দক্ষিণ কলকাতার ভেতরে ঢুকছিল কী করে?”
বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাবেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। একই সঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে নিশ্চযই বলব, তবে মুখ্যমন্ত্রীরও কিছু করার থাকবে না, যদি নীচুতলা সক্রিয় না হয়।”
ট্রাফিক পুলিশের চোখ এড়িয়ে শহরের বুকে লজঝর গাড়ি কীভাবে চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতার মেয়র। ফিরহাদ বলেন, “গাড়িগুলো সব ১৫ বছরের পুরনো, অর্ধেকের নম্বরও নেই। কীভাবে চলছে? এভাবে চললে তো দূষণের বিরুদ্ধে একা লড়াই চালিয়ে যাওয়া যাবে না।”
সূত্রের খবর, সম্প্রতি একাধিক জলাশয় বোজানোর অভিযোগ এসেছে কলকাতা পুরসভায়। তারই তদন্তে এদিন রাজপথে নেমেছিলেন ফিরহাদ। এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে ফিরহাদের বার্তার পর পুলিশ সক্রিয় হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।