শেষ আপডেট: 1st February 2025 00:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি (ম্যাকাউট)-এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে একজন অধ্যাপিকার 'বিয়ে' হতে দেখা যায় প্রথম বর্ষের ছাত্রের সঙ্গে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ওই অধ্যাপিকা দাবি করেছিলেন যে, এটি একটি প্রজেক্টের অংশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এই দাবি মানতে নারাজ।
শুক্রবার তদন্ত কমিটির তরফে মৌলানা আবুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, এটা মজা করার নামে নোংরামি ছাড়া কিছুই নয়! অর্থাৎ অধ্যাপিকা যে বিষয়টিকে নাটকের অংশ বলে দাবি করেছিলেন তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ওই কমিটির দ্বারা। যদিও এই বিষয় নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি অভিযুক্ত 'দিদিমনি'।
কোন প্রজেক্টের জন্য এই ধরণের বিয়ের রীতিনীতির ভিডিও তোলা দরকার হল, তা শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্ট নয় বলে জানানো হয়েছিল। তাই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই তদন্ত কমিটি বসিয়ে ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরে অবশ্য অধ্যাপিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তা দিয়ে বলেন, একটা ড্রামা ক্লিপ এভাবে ভাইরাল হয়েছে।
তাঁর বক্তব্য ছিল, ''এটা পার্ট অফ ড্রামা। আরও অনেক ভিডিও আছে, ডিপার্টমেন্টের। নাচ-গান। যেখানে পড়ুয়ারা নাচ গান করছেন। আমিও অংশগ্রহণ করি। অন্যান্য ফ্যাকাল্টিরাও করেন। সেসবও আছে। সেগুলো ভাইরাল না হয়ে একটা সাইকো ড্রামা থেকে কিছু অংশ ধরে ধরে ভাইরাল করা হয়েছে।'' একই সঙ্গে মহিলা আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে আর এই ভিডিও ভাইরাল না হয়।
কেন হল এমন হঠাৎ? কে করল এই কাজ? অধ্যাপিকার বক্তব্য, ''কে, কোন উদ্দেশে করল সেনিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আশা করি কর্তৃপক্ষ যাচাই করবে। ওদের ওপর পুরো বিশ্বাস রয়েছে। কে করেছে, ওরাই যাচাই করে বের করুক। এটাই বলব, ভিডিওগুলো ভাইরাল হয়েছে আমি তো মানহানির মামলা করব।'' কিন্তু এখন দেখা গেল, বিশ্ববিদ্যালয়েরই তদন্ত কমিটি তাঁর তত্ত্ব মানতে রাজি নয়।