শেষ আপডেট: 11th January 2025 11:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, যে ওষুধ কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই কোম্পানিকে গত ১০ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
প্রায় এক মাস পরেও সেই কোম্পানির স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালে রয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রোগী মৃত্যুর পাশাপাশি এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন স্বাস্থ্য দফতরের গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা।
ইতিমধ্যে স্টেট ওয়েলফেয়ার অফিসার অসীম দাস মালাকারের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল টিম পৌঁছেছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। তদন্তকারী দলে রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের দু'জন কর্তা, দুজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ-সহ ৬ জন চিকিৎসক এবং, চারজন ড্রাগ ইন্সপেক্টর।
জানা যাচ্ছে, তদন্তকারী দল তদন্তে তিনটি দিক খতিয়ে দেখবেন। মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় রোগিনীর পরিবারের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন ব্যবহারের কারণেই রোগিনীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
একই সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা কোম্পানির স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালে রয়ে গেল, এক্ষেত্রে কার কার গাফিলতি রয়েছে তাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। এর পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে মেডিক্যালের চিকিৎসা পরিষেবাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, "অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করা হবে।"