শেষ আপডেট: 9th October 2024 15:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা শুধু নয়। আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদকে সমর্থন করে 'গণইস্তফা'র আঁচ বাড়ছে জেলাতেও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন একাধিক সিনিয়র চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, প্রস্তুতি চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও! মঙ্গলবারই আরজি করের একাধিক সিনিয়র ডাক্তাররা গণইস্তফা দেন। বুধবার কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও একই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ষষ্ঠীর সকাল থেকেই জেলায় জেলায় এই গণইস্তফার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ৫০ জনের বেশি সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররাও এমন পদক্ষেপের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। যদিও ইস্তফা দিয়ে তাঁরা কাজই ছেড়ে দিচ্ছেন এমনটা নয়।
'গণইস্তফা' দেওয়া একাধিক সিনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, কোনও পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে না। তাঁরা ইস্তফা দিয়ে কোথাও চলেও যাচ্ছেন না। এটা একটা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ধরা যায়। তবে তাঁদের একটাই দাবি, জুনিয়র ডাক্তাররা যা চাইছেন তা যেন সরকার দ্রুত মেনে নেয়। তাহলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত হবে এবং সকলের ভাল হবে।
গত শনিবার থেকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর সাত জন প্রতিনিধি ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ধর্মতলায়। তাঁদের অনশনে সামিল হয়ে ইতিমধ্যে একাধিক সিনিয়র ডাক্তার 'প্রতীকী অনশন'ও করেছেন ১২ ঘণ্টার। তবে যে গণইস্তফার সংখ্যা বেড়েছে তা দেখে অনেকেই শঙ্কিত হচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় প্রভাব পড়বে। যদিও রাজ্য সরকার এই বিষয়টিকে 'ইস্তফা' মানতে রাজি নয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, এইভাবে কখনও ইস্তফা দেওয়া যায় না। তার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
এক সিনিয়র চিকিৎসকের কথায়, এই ধরনের প্রতীকী গণ ইস্তফা আগেও হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত পদত্যাগপত্র পরপর জমা দিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু সরকার সে ইস্তফা গ্রহণ করে না। ফলে তা সত্যিকারের পদত্যাগ নয়।