শেষ আপডেট: 31st July 2023 11:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় আগেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বলেছিলেন, সরকার পদক্ষেপ না করলে শীর্ষ আদালতই মণিপুর নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার আরও চড়া সুরে মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘মণিপুরে যা ঘটেছে তা আমরা এই কথা বলে ন্যায়সঙ্গত করতে পারি না যে এমন ঘটনা অন্যত্র ঘটেছে।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এমন একটি অভাবনীয় অপরাধ নিয়ে কথা বলছি, যার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ এহং হিংসা যুক্ত।’
সেই আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সব রাজ্যেই নারীর প্রতি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলে মণিপুরে যা ঘটছে তা দেশের অন্য অংশে ঘটছে বলে আপনি অজুহাত দিতে পারেন না। প্রশ্ন হল আমরা মণিপুরের পরিস্থিতিকে কীভাবে মোকাবিলা করব।’
প্রসঙ্গত, মণিপুরের জাতিদাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখনও মুখ খোলেননি। সোমবারও বিরোধীরা সংসদের দুই কক্ষে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হন। রাজ্যসভায় সরকারের পক্ষে মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বলেন, সরকার সোমবারই আলোচনায় রাজি। চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় আলোচনায় সম্মতি দিলেও বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি ছাড়া বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতিদাঙ্গা নিয়ে নীরব থাকলেও দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করতে গিয়ে কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগড় এবং রাজস্থানের নাম করে বলেছিলেন সেখানেও এমনটা ঘটে। পরে বিজেপি নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের নাম তাতে যোগ করে। গত শনিবার ইন্ডিয়া জোটের সাংসদেরা মণিপুর গেলে কলকাতা সফররত কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সাংসদেরা কেন পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তীসগড়ে যাচ্ছেন না। সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় স্পষ্ট করে দিলেন, মণিপুরের সঙ্গে দেশের অন্যত্র ঘটে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনাকে শীর্ষ আদালত এক করে দেখতে নারাজ।
আরও পড়ুন: এখানে আসুন, রুটি ভাগাভাগি করে খাব! মণিপুরের মানুষকে রাজ্যে আমন্ত্রণ মমতার