শেষ আপডেট: 5 December 2023 08:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিসেম্বরের শহরে শীত এখনও পড়েনি সেভাবে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের দাপটে যদিও আকাশ মেঘলা, আর সেই কারণেই পারদ পতন হচ্ছে না। তবে দিনের বেলা রোদের অভাবে হিমেল পরশ টের পাওয়া যাচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় মনটা এমনিতেই ছুটি ছুটি করে। তার উপর সামনেই বড়দিন। ঘোরার পরিকল্পনা না করলে হয়? ক্রিসমাসের ছুটি কাটানোর ক্ষেত্রে অনেকেরই পছন্দের ঠিকানা মন্দারমণি। কিন্তু বাঙালির পছন্দের এই সৈকতনগরীতে এখন হোটেল ভাড়া রাতপ্রতি কত টাকায় পৌঁছেছে, জানলে অনেকেই মাথায় হাত পড়বে। এমনকী, ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল করে দেওয়াও বিচিত্র নয়।
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সমুদ্রসৈকত বললেই ভ্রমণপিপাসু মানুষের মাথায় প্রথমেই আসে দিঘার কথা। তবে দিঘায় ভিড়ের ভয়ে আজকাল অনেকেই তুলনায় একটু নিরিবিলি, অথচ কাছেই মন্দারমণি কিংবা তাজপুরে থাকতে পছন্দ করছেন। যদিও অনেকের মতেই, দিঘার তুলনায় মন্দারমণি খানিক বেশি খরচসাপেক্ষ। হোটেলের ভাড়া কিংবা খাওয়ার খরচ, দুইই বেশি। সে কথা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি, তার প্রমাণ দেবে মন্দারমণির হোটেল ভাড়া। জানা যাচ্ছে, সৈকতের ধারে বেশ কিছু রিসর্টের ভাড়া মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বেরিয়ে গেছে। একাধিক বিলাসবহুল রিসর্টের ভাড়া দিনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা ছুঁয়েছে!
হ্যাঁ, বিশ্বাস না হলেও এমনটাই সত্যি। এবারে বড়দিন পড়েছে সোমবার। তার আগে শনি রবি দুদিন ছুটি। স্বভাবতই, শুক্রবার অফিস সেরে, কিংবা শনিবার সকালেই সাগরপারের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ার পরিকল্পনা সেরে রেখেছেন অনেকেই। অনেক আগে থেকেই বুকিং সেরে রেখেছেন তাঁরা। ফলে এখনও বুকিং করেননি যাঁরা, তাঁরা হঠাৎ করে সেখানে গিয়ে পড়লে মাথা গোঁজার ঠাইঁ না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী, বেশ কিছু হোটেল-রিসর্ট জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত বুকড হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন হোটেল মালিকরা।
গত বছরেই চালু হয়েছিল মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর হয়ে দিঘা পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ। ২৬ কিলোমিটার সেই রাস্তার আকর্ষণে অনেকেই ঘুরতে চলে যাচ্ছিলেন সাগরপারে। এখনও নাকি তা 'পুরনো' হয়নি। তার মধ্যেই এবার বড়দিনের ছুটি সামনে। এখন থেকেই দিঘা-তাজপুর-মন্দারমণিতে তিল ধারণের জায়গা নেই, জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। সেসব হোটেলের ভাড়া সাধারণত দিনপ্রতি ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে থাকে, সেগুলির ভাড়া ছুটির মরশুমে এক লাফে দ্বিগুণ, কিছুক্ষেত্রে তার ও বেশি হয়ে গেছে। সৈকতের একেবারে কাছে যে সমস্ত হোটেল রিসর্ট রয়েছে, সেগুলির কোনওটির ভাড়া ১০ হাজারে পৌঁছেছে, কোনওটির ১৫ হাজার। ফলে বড়দিনের ছুটিতে মন্দারমণি যেতে চাইলে যে বেশ অনেকটাই বেশি গাঁটের কড়ি খসবে, তা বলা বাহুল্য।