শেষ আপডেট: 31st January 2025 16:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মানস চক্রবর্তী। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে ইস্তফার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিলেন মানস।
অবসরের পাঁচ বছর পরেও রেজিস্ট্রারের পদে বসে ছিলেন মানস চক্রবর্তী। ২০২৯-এর ১ নভেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে মেয়াদ শেষ হয় তাঁর। কাউন্সিলকে অন্ধকারে রেখেই অবৈধভাবে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল।
এদিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে মানস বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি।"
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে অবসর হওয়ার পরও, সরকারের অনুমোদন ছাড়াই এক্সটেনশনে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে ছিলেন মানস চক্রবর্তী। বেঙ্গল মেডিক্যাল আইন (অ্যাক্ট) অনুযায়ী যা অবৈধ।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের নোটিস দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। ৭ ফেব্রুয়ারি ওই পদের প্রার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে। যদিও সেই যুক্তি গ্রহণ করেনি আদালত।
স্বাস্থ্যসচিবও মানসকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেও তিনি পদ ছাড়েননি বলে জানা যায়। ২০২২ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনেও তিনিই রিটার্নিং অফিসার ছিলেন। তাই সেই নির্বাচনও অবৈধ বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকরা।
এই নিয়েই হাইকোর্টে মামলা চলছিল। বৃহস্পতিবার সেই মামলাতেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, মানস চক্রবর্তীকে স্বেচ্ছায় ওই পদ ছেড়ে দিতে হবে, না হলে ছাড়িয়ে দেওয়া হবে।
সেই নির্দেশ মেনেই আজ নির্ধারিত সময়ের আগে অবশেষে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন মানস চক্রবর্তী।