শেষ আপডেট: 27th December 2019 07:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুন করে আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছিল 'প্রেমিক'। সেই সাজানো গল্পে আবার দোষ চাপিয়েছিল প্রাক্তন প্রেমিকার বর্তমান স্বামীর উপর। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল সে। ধরা পড়ে গেল তার সমস্ত চক্রান্ত। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের জালনা এলাকার এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক সচিন গাইকোয়াড়। পুলিশ জানিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় দীপালি রমেশ শিংদে-র মৃতদেহ। ২০ বছরের ওই তরুণীর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট ও মোবাইল ফোন। তাঁর স্কুটারটিও ছিল কাছেই। সুইসাইড নোটে দেখা যায়, তাঁর স্বামী অবিনাশ ওয়ানজারেকে দায়ী করেছেন তিনি। স্বামীর অত্যাচারেই তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে লিখেছেন। সেই সঙ্গে ফোন থেকে বাবাকে একটি মেসেজও করেছেন, একই কথা লিখে। প্রসঙ্গত, ছ'মাস আগেই লুকিয়ে লুকিয়ে অবিনাশকে বিয়ে করেছিলেন দীপালি। সুইসাইড নোট ও মেসেজ দেখে অবিনাশের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন দীপালির বাবা। গ্রেফতারও করা হয় অবিনাশকে। কিন্তু পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ভোঁতা ও ভারী কিছুর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। তদন্ত চালাতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারেন, বিয়ের আগে সচিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দীপালির। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে সচিন পলাতক বলে জানা যায়। এর পরেই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায়, সচিনই স্কুটিতে করে দীপালিকে নিয়ে আসে রেললাইনের ধারে। এর পরেই এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধরে আনা হয় সচিনকে। জেরার মুখে সে স্বীকার করেস ২১ তারিখে দীপালির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে এক জায়গায় নিয়ে য়ায় সচিন। সেখানে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হলে রাগের মাথায় দীপালিকে খুন করে সে। তার পরে রেললাইনের ধারে তাঁর দেহটি ফেলে দিয়ে আত্মহত্যার গল্প ফাঁদে। দীপালির ফোন থেকে সচিনই মেসেজ করে দীপালির বাবাকে। সুইসাইড নোটও নিজেই লেখে, যাতে সকলেই ভাবেন স্বামীর অত্যাচারে আত্মহত্যা করেছেন দীপালি। স্বীকারোক্তির পরে সচিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুজু হয়েছে খুনের মামলা।