শেষ আপডেট: 3rd January 2024 16:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে গত বছরের অক্টোবরে দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা্য়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
অভিযোগ, সময় দিয়েও দেখা না করে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। প্রতিবাদে মন্ত্রীর দফতরের বাইরে ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক সহ বাংলার তৃণমূল সাংসদ, বিধায়করা। পুলিশ দিয়ে তাঁদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার প্রায় চার মাস পর বুধবার কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূলের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চায়নি।
এদিন কলকাতা সফরে এসে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সাধ্বী নিরঞ্জন। সেখানে সংবাদমাধ্যমের কাছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দাবি, “তৃণমূল ধর্না দিতে চেয়েছিল, আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়নি।”
নিজের বক্তব্যের সপক্ষে তাঁর ব্যাখ্যা, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা নথি নিয়ে যাননি, রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন'”
১০০ দিনের বকেয়া টাকা সহ কোনও প্রকল্পের টাকাই কেন্দ্র আটকাতে চায়নি বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একই সঙ্গে দুর্নীতি প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “বাংলার মানুষের অধিকার কোনও দুর্নীতি বা পরিবারবাদকে হরণ করতে দেব না।”
কড়া প্রতিক্রিয়া ধেয়ে এসেছে তৃণমূল শিবির থেকে। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দেখা করতে যায়নি মানে? অভিষেক বাংলা থেকে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। মন্ত্রীতে তো নিজেই দেখা না করে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের কাছে সব প্রমাণ আছে।”
কুণাল আরও বলেন, “সা্মনে লোকসভা ভোট। তাই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কলকাতায় এসে মিথ্যাচার করছেন। তবে এসব করে কোনও লাভ হবে না। নাটক না করে গরিব মানুষের প্রাপ্য হকের টাকা দ্রুত মেটানোর ব্যবস্থা করুন।”
আরও একধাপ এগিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "অভিষেকের নেতৃত্বে আমরা যে সেদিন ওনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম. তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ তো ওঁর দফতরের সিসিটিভি ফুটেজ। সৎ সাহস থাকলে উনি সেই ফুটেজ প্রকাশ্যে আনুন।"
গত একুশ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। সেই টাকা উদ্ধার করতে তিনটি রাস্তা রয়েছে। দিল্লির কাছে আবেদন করা, পায়ে পড়া, নইলে অধিকার ছিনিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করা। প্রথমটা তৃণমূল করেছে। কিন্তু হকের টাকা উদ্ধারের জন্য কারও পায়ে পড়বে না।
এরপরই পুজোর আগে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে অভিষেকের নেতত্বে দিল্লি অভিযানে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী দেখা না করায় সেখান থেকেই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন।
১০০ দিনের কাজের টাকা তো বটেই আবাস, সড়ক যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। শাসকদলের নেতৃত্বর অভিযোগ, একুশের ভোটে বাংলা দখলের স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা আটকে রেখে প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।