শেষ আপডেট: 3rd January 2025 15:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঘিনির আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ফের দলমার দামালদের আতঙ্কে তটস্থ জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা।
গত কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। কখনও বাঁকুড়া তো কখনও পুরুলিয়া কিংবা মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের জঙ্গল পথে গ্রামের পর গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে তাঁরা। এ নিয়ে বন দফতরের যেমন বিড়ম্বনার শেষ নেই, তেমনই ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামবাসীদের মধ্যেও।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নয়া পরিকল্পনা নিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, হাতির করিডর অর্থাৎ যে পথ ধরে জঙ্গলমহলে হাতি ঘুরে বেড়ায়, সেই করিডর লাগোয়া গ্রামগুলিকে খাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা যেমন হাতির উপদ্রব থেকে অনেকখানি রেহাই পাবেন একইভাবে চাষের ক্ষেত্রে ওই খালের জলও ব্যবহার করতে পারবেন বাসিন্দারা।
বন দফতরের এক কর্তা বলেন, "এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে হাতি সহজে আর গ্রামে ঢুকতে পারবে না। কীভাবে এই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।"
রাজ্যের প্রতিটি দফতরের কাজের হাল হকিকৎ খতিয়ে দেখতে বছরের শুরুতেই বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে ক্লাসে পড়ার ধরার স্টাইলে রিপোর্ট কার্ড ধরে ধরে প্রতিটি দফতরের কাজের খতিয়ান খতিয়ে দেখেন তিনি। পরিবহণ, শিক্ষা-সহ একাধিক দফতরের মন্ত্রীদের ধমক দেন তিনি। মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশও।
ওই বৈঠকেই জঙ্গলমহলে হাতির উপদ্রব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, "হাতির পাল বাড়ছে, জঙ্গল ছেড়ে ওরা গ্রামে ঢুকে যাচ্ছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে।" এরপরই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে হাতির প্রবেশ ঠেকাতে খাল কাটার পরামর্শ দেন মমতা।