শেষ আপডেট: 28th November 2024 18:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাসিনা পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশের অশান্তিতে বিরাম নেই। সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে সরব আন্তর্জাতিক মহলও। হিংসার নিন্দা করে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের মোদী সরকারকেও আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঁচিতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ধর্মের নামে হিংসা আমরা সমর্থন করি না। যেকোনও হিংসার ঘটনায় নিন্দনীয়। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রের সরকারও তো একটা বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড বিদ্বেষ নিয়ে চলছে। আমরা মনে করি, এটা ঠিক নয়। মন্দিরও থাকবে, মসজিদও থাকবে। ধর্ম যার যার, আমরা শান্তির পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে। মানুষ যেন তাঁর ধর্মীয় রীতি পালন করতে পারেন, এটা সরকারের দেখা দরকার।"
বস্তুত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে গত কদিন ধরেই উত্তাল সংসদ। অভিযোগ, বিল সংশোধনের নামে ওয়াকফ নিয়ে মুসলিমদের অধিকার খর্ব করতে চাইচে কেন্দ্র। পরোক্ষে এই প্রসঙ্গের ইঙ্গিত করেই মমতা কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ফের রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা দুটো দেশের বিষয়। এ বিষয়ে রাজ্যের ভূমিকা লিমিটেড। তাছাড়া এক্ষেত্রে রাজ্য কে তো কখনও ইনভলভড করা হয় না। তবে আমরা যেমন বাংলাদেশকে ভালবাসি। তেমনই বাংলাদেশের মানুষজনও আমাদের ভালবাসেন। আমাদের ভাষা, সাহিত্য, পোশাক পরিচ্ছদ সবই এক। রাজনৈতিকভাবে যাই মতভেদ থাকুন না কেন, আমরা নিশ্চয়ই কেউই চায় না ধর্মে ধর্মে বিভেদ হোক।"
মমতা এও বলেন, "যেকোনও ধর্মের ওপর হিংসার ঘটনা নিন্দনীয়। না হিন্দু, না মুসলমান, কারও ওপর যেন আক্রমণ না হয়, আমরা সবাই এক। এটাই আমাদের নীতি।"