শেষ আপডেট: 29th September 2024 15:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দু'দিন পরেই মহালয়া। অথচ বন্যার জলে ভাসছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। পুজোর মুখে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ফের কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়।
কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রের মদতেই জল ছেড়েছে ডিভিসি। বাংলা ভেসে গেলেও কিছুই যায় আসে না ওদের।"
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গও। পাহাড় থেকে সমতল, সর্বত্র নেমেছে ধস। বন্ধ হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে পূর্ব নিধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিকেল পাঁচটায় উত্তর কন্যায় বৈঠক করবেন তিনি।
এ ব্যাপারে কলকাতা বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণবঙ্গে পুজোর মুখে এই যে বন্যা এর জন্য দায়ী কেন্দ্র। পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ভাসিয়ে দিল। মানুষ কষ্টে আছে। আমরা যথাসম্ভব সকলের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি।
ত্রাণের প্রশ্নেও কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "নির্বাচনের সময় বাংলায় এসে বড় কথা বললেও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাকে এক টাকাও দেয় না কেন্দ্র।"
একদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, কালিম্পঙের একাধিক এলাকায় যেমন ধস নেমেছে তেমনই তিস্তার বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় নতুন করে টাকিমারি, মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে নীচু এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজও শুরু করেছে প্রশাসন। ধসের জেরে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন সকালেই উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুলিশ রিলিফের কাজ করছে। ধস নেমে দার্জিলিংয়ের রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে গেছে। ওই রাস্তা সিকিমের সঙ্গে যুক্ত। দ্রুত রাস্তা মেরামত করতে প্রয়োজনে আর্মির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরেও। এজন্যও কেন্দ্রকে দুষেছেন মমতা। তিনি বলেন, "কোশী নদীর জল নেপাল ছেড়েছে৷ সেই জল বিহার হয়ে বাংলায় আসছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরে এর প্রভাব পড়েছে। বিহারও ভাসবে৷ বাংলাও ভাসবে৷ কারণ কেন্দ্র নাম কা ওয়াস্তে ফারক্কা দেখলেও ড্রেজিং হয় না। ফলে তারাও জল ধরে রাখতে পারে না।"