শেষ আপডেট: 21st February 2024 22:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষক আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৪ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই বিষয়ে এবার গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের প্রতি অমানবিক আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যুতে পোস্ট করেছেন মমতা।
হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্ত থেকে কৃষক মৃত্যুর খবর এসেছে। তবে হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, এটা পুরোপুরি একটা গুজব। গোটা বিষয় নিয়ে চুপ থাকেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ''যুগ যুগ ধরে জমিদাররা গরিব, অসহায়দের ওপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছে। কিন্তু এর আগে কোনও দেশের নির্বাচিত সরকারকে এমন করতে দেখা যায়নি। আন্দোলনকারী কৃষকদের হত্যা করা হচ্ছে।''
ZAMINDARS in all ages have always oppressed the poor and subjugated them to brute force. But never before has an ELECTED GOVERNMENT KILLED INNOCENT FARMERS PROTESTING FOR THEIR RIGHTS.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 21, 2024
After lying & mistreating our farmers for 10 years, the BJP government is now KILLING THEM…
বুধবার পূর্ব ঘোষণা মতো কৃষকরা পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের শম্ভুতে জড়ো হন। দিল্লির উদ্দেশে তাঁরা যাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিরাট সংঘর্ষ বাধে। কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে পুলিশ লাঠি চালায় ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এই ঘটনাতেই এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। মমতার সংযোজন, ''বিগত দশ বছর ধরে কৃষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এই কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের মিথ্যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আর এখন দায়মুক্তির সঙ্গে তাঁদের হত্যা করা হচ্ছে।'' মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই ধরনের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্র বিপন্নের ইঙ্গিত দেয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৪ বছরের শুভকরণ সিং নামে এক যুবক জখম হয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করার আগেই হরিয়ানা পুলিশ জানিয়ে দেয়, এটা পুরোপুরি গুজব। ২ পুলিশকর্মী এবং প্রতিবাদী জখম হয়েছেন। কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি। কিন্তু সেই দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারিও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে পোস্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের ওপর বিজেপি সরকারের প্রশাসনের হামলা নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। মমতার বক্তব্য ছিল, কৃষকদের ওপর নির্বিচারে হামলা হলে দেশ এগোতে পারে না। বিজেপিকে সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, সবই পিআর স্টান্ট, যেটা 'বিকশিত ভারতের' আসল ছবি সামনে আনছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঞ্জাব সফরেও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কৃষক আন্দোলনের বিষয়টি বিবেচনা করেই সেই যাত্রা তিনি স্থগিত করেন। বিধানসভায় মমতা জানিয়েছিলেন, কৃষক আন্দোলনের কথা মাথায় রেখেই এই মুহূর্তে পাঞ্জাব সফর স্থগিত রেখেছেন তিনি। কৃষকদের পাশে থাকাটা এই সময় বেশি জরুরি বলেই মনে করছেন।