শীর্ষ আদালতের রায়ের পর চাকরিহারাদের নিয়ে নেতাজি ইনডোরে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
শেষ আপডেট: 19 May 2025 14:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এসএসসি মামলায় (SSC Case Verdict) সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর চাকরি হারিয়ে বর্তমানে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে বিক্ষোভ করছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছে। আর সম্প্রতি তাঁদের ওপর পুলিশি লাঠিচার্জের ঘটনা তো পরিস্থিতি আরও সরগরম করে তুলেছে। এই ইস্যুতে মুখ খুলে কার্যত বিরোধীদেরই বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, কেউ কেউ উস্কানি দিচ্ছেন চাকরিহারাদের।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গ ওঠে। তখন মমতা বলেন, ''যারা উস্কানি দিয়েছে তারাই কিন্তু মামলা করেছে ওদের বিরুদ্ধে। চাকরি আমাদের জন্য যায়নি। যাদের জন্য চাকরি গেল, তাদের বলব এটা নাই করতে পারতেন।'' অভিযোগের সুরে মমতার এও বক্তব্য, ''চাকরি খাওয়ার নাটের গুরুরা আজ চাকরিহারাদের স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে গেছেন। এটায় আমার আপত্তি আছে।''
শীর্ষ আদালতের রায়ের পর চাকরিহারাদের নিয়ে নেতাজি ইনডোরে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন এই বিক্ষোভের ইস্যুতে স্পষ্টত অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ''ওদের প্রতি যথেষ্ট সমবেদনা রয়েছে, ছিল এবং থাকবে। আমি তো বৈঠক করে বলেছিলাম রিভিউ করব, আদালতের ব্যাপারে আইন মেনে চলব। একটা বাধ্যবাধকতা থাকে সবাইকে বুঝতে হবে।'' মমতার বক্তব্য, রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা উচিত ছিল তাঁদের। যদিও তিনি মনে করেন, এই আন্দোলনে শিক্ষকের সংখ্যা কম, বাইরের লোকের সংখ্যা বেশি রয়েছে! এই প্রেক্ষিতেই মমতার সাফ কথা, রাস্তা অবরোধ করে, কাউকে আটকে রেখে কোনও আন্দোলন হয় না।
সোমবারই চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলে তাঁদের বিশেষ পরামর্শ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাংসদের বার্তা, ''চাকরিহারাদের আন্দোলনকে আমি ছোট করব না, সেই ধৃষ্টতা আমার নেই। কিন্তু আন্দোলন কখনও উগ্র হয় না, হিংস্র হয় না।'' এও বলেন, ''আন্দোলন হবে অহিংসার পথে, গণতন্ত্রের পথে। গান্ধীজি অহিংসার কথা বলেছিলেন, আমরাও আন্দোলন করেছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, প্রতিবাদ প্রদর্শন করা মানেই হিংসাত্মক আচরণ নয়।'' যদিও প্রতিবাদীদের দাবি, সরকার পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও কোনও রকম আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা।