সপ্তাহের শুরুতে ফের উত্তপ্ত বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখা শুরু করলেই হই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 16 June 2025 07:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপ্তাহের শুরুতে ফের উত্তপ্ত বিধানসভা (Bidhansabha)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বক্তব্য রাখা শুরু করলেই হই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা (BJP MLAs)। সেই ইস্যুতে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরকে উদ্দেশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বিধানসভায় পা রাখলেই ওদের আর কোনও প্রশ্ন থাকে না। বিতর্ক করার মতো যুক্তিও থাকে না। তাই এখন গায়ে পড়ে অপপ্রচার চালায় আর স্লোগান দেয়।”
মুখ্যমন্ত্রী কোনও নাম নেননি তবে তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। মমতা বলেন, “আপনাদের হাফ মিনিস্টার আমাদের পাড়ায় গিয়ে এক পাঞ্জাবি অফিসারকে জুতো ছুঁড়ে মারেন। এটাই কি রাজনৈতিক শালীনতা?” এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “আমার বাড়িতে আপনি ঢোকার চেষ্টা করলে, আমরাও আপনার বাড়ির ঠিকানা জানি। বাড়াবাড়ি করলে জবাব পাবেন।”
বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “আপনারা তো গদ্দারদের আশ্রয় দেন। যারা দেশ বিক্রি করেছে, তাদের হাত শক্ত করেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। আর বড় বড় কথা বলছেন!'' গুজরাত প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যেদিন গুজরাতে ঘটনাটা ঘটেছিল, আমরা রাজনৈতিক সৌজন্যের কারণে চুপ ছিলাম। কিন্তু সেই সৌজন্যের অপব্যবহার করবেন না। এত যদি হাওয়াই চটি ভালো লাগে, তা হলে হাওয়াই চটির দোকান দিন। ব্যবসা মন্দ হবে না!”
প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে বিজেপির তোলা প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার সব ফাইল কেন্দ্রের কাছে আছে। আমি চলে আসার পরও ওরা একটাও ফাইল ছাড়েনি। দেখেছে — কিছু পায়নি। আমি এক পয়সা বেতন নিই না। সার্কিট হাউজে থাকা-খাওয়ার খরচ নিজের পকেট থেকেই দিই।” এমনকী ব্যক্তিগত আক্রমণের বিষয় নিয়েও সুর চড়ান তিনি। মন্তব্য করেন, “আমার খাওয়াদাওয়া, পোশাক-আশাক, ওদের ঠিক করার অধিকার নেই। কে কী খাবে, পড়বে—তা নিয়ে মন্তব্য করার সাহস কোথা থেকে আসে?” সবশেষে হুঁশিয়ারি, “২০২৬ সালে আপনারা রাজনীতিতে শূন্য হয়ে যাবেন। মানুষ সব বুঝে গেছে।”
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর বিজেপির বিক্ষোভ আরও বাড়ে। অধিবেশনের বাইরে এসে তাঁরা অভিযোগ করেন, কোনও কিছু নিয়ে প্রশ্ন করলে, বিরোধিতা করলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। কিছুই প্রশ্ন করতে দেওয়া হয় না। এদিকে সোমবার বিধানসভার অধিবেশন পরিচালনার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় মনোজ ওঁরাওকে। তারপরই ওয়াকআউট করে বিজেপি।