শেষ আপডেট: 10th February 2025 14:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টিকে হারিয়ে ২৭ বছর পর রাজধানী দখল করেছে বিজেপি। গত দুই বিধানসভা ভোটে আপ যে ঝড় তুলেছিল তা এবার একেবারে ম্লান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আপের সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘাতই এই ফলাফলের মূলে। ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক দলের দূরত্বে ফায়দা পেয়েছে পদ্ম শিবির। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই মনে করেন।
সোমবার শুরু হয়েছে রাজ্য বাজেট অধিবেশন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিল্লির ভোট প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি দুই দলের কোন্দলকেই এই ফলের জন্য দায়ী করেন তিনি। বলেন, 'দিল্লির ভোটে কংগ্রেস যদি আপের সঙ্গে সহযোগিতা করত, তাহলে এই ফল হত না। ওদিকে, আপও হরিয়ানায় কংগ্রেসকে সাহায্য করেনি। একসঙ্গে থাকলে এমন ফল হত না।' দিল্লির ফল দেখে বিজেপি ইতিমধ্যে দাবি করতে শুরু করেছে যে, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটেও রঙ বদলাতে চলেছে। কেজরিওয়ালের মতোই বিদায়ের পথে মমতা। এই ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলেরও যে সখ্যতা রয়েছে এমনটা নয়। বেশ কয়েকটি ইস্যুতে হাত শিবিরকে সাম্প্রতিক অতীতে নিশানা করেছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচন তার অকাট্য প্রমাণ। এখন দিল্লির সঙ্গে বাংলার ভোটের মিল খোঁজার চেষ্টারত বিজেপির উদ্দেশে মমতার পরোক্ষ বার্তা, 'বাংলায় আমাদের কারও প্রয়োজন নেই। আমরা ২০২৬-এ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফের ক্ষমতায় আসব।'
দিল্লির জয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ বিজেপির নেতারা ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন, এবার দিল্লির পথে হাঁটবে বাংলাও। দাবি, যেভাবে কেজরিওয়ালের অহঙ্কারের পতন হয়েছে একইভাবে বাংলাতেও তৃণমূলের পতন ঘটবে। এই ব্যাপারে কুণাল ঘোষ আগেই দাবি করেছেন, দিল্লির বিষয় দিল্লিতে। এখানে কোনো মন্তব্য নেই। বাংলায় ওসবের প্রভাবও নেই। ২০২৬ সালের বাংলা থেকে আড়াইশোরও বেশি আসনে জিতবে তৃণমূল। চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন বন্দ্যোপাধ্যায়।