মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল।
শেষ আপডেট: 24th September 2024 16:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার রাতে অনুব্রত মণ্ডল যখন তিহাড় জেল থেকে বেরোচ্ছিলেন তখন দলের অন্দরেই গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই হয়তো নিজের বীর-ভূমে প্রত্যাবর্তন হবে অনুব্রত মণ্ডলের।
কারণ, মঙ্গলবার বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক পূব নির্ধারিত ছিল। বাস্তবে অবশ্য দেখা গেল, মঙ্গলবার সকালে মেয়ে এবং দলের কিছু কর্মীর সঙ্গে বোলপুরে পৌঁছন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। পরে বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক হাজির হলেও অনুব্রতর সঙ্গে দেখা না করেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, বন্যা সংক্রান্ত প্রশাসনিক বৈঠকেও একটি বারের জন্যও কেষ্ট মণ্ডলের নাম নেননি মুখ্যমন্ত্রী।
কেন? সূত্রের দাবি, এর মধ্যে পলিটিক্স খোঁজা অর্থহীন। রাজ্যের জেলায় জেলা. বন্যা পরিস্থিতি। লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে। আপাতত তাঁদেরকে সহযোগিতা করাটাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উদ্দেশ্য। তাই এদিন বোলপুরে গেলেও কেষ্ট মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি।
অনুব্রতকে বরাবরই স্নেহের চোখে দেখেন মমতা। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনেই তিহাড় থেকে তাঁর জেলায় ফেরা নিয়ে নানা গুঞ্জন সামনে আসছিল। দলের একাংশ জানিয়েছিলেন, প্রশাসনিক বৈঠকের পর মমতা অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। বোলপুরে ফিরে অনুব্রতও জানিয়েছিলেন, শরীর ভাল থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে।
তবে বৈঠকের পরই দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় কলকাতার উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, "পুজোর মুখে এভাবে বন্যা। লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে। তাঁদের সুরক্ষা নিয়েই ম্যাডাম ব্যস্ত।"
বস্তুত, এর আগে গত সপ্তাহে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়া, হুগলি, ঘাটাল হয়ে আরামবাগে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি এবং কেন্দ্রের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে কোথায় কত মানুষ রয়েছেন, তাঁদের পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা হয়েছে কিনা, কোন কোন এলাকায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানকার মানুষকে সরানো হয়েছে কিনা, বৈঠকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, বৈঠকে দলের এক প্রতিনিধি অনুব্রতর প্রসঙ্গটি তোলার চেষ্টা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হাত দেখিয়ে ইশারায় তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, 'এখন দুর্গত মানুষের দিকে নজর দিন।'