শেষ আপডেট: 25th November 2024 20:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আদ্যন্ত কর্পোরেট স্টাইল যাকে বলে! এখন থেকে চাইলেও যেকোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না তৃণমূল নেতারা। প্রত্যেকের জন্য ভাগ করে দেওয়া হল নির্দিষ্ট বিষয়।
সোমবার ছিল তৃণমূল জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেখানেই এ ব্যাপারে দিল্লি, রাজ্য, বিধানসভা থেকে শুরু করে কোন বিষয়ে কে বা কারা মন্তব্য করতে পারবেন তার তালিকা তৈরি করে দিয়েছে শাসকদল। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহিলা নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
চন্দ্রিমা জানান, এখন থেকে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে বলবেন অমিত মিত্র এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিল্প নিয়ে বলবেন শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক। উত্তরবঙ্গের বিষয়ে বলবেন গৌতম দেব, উদয়ন গুহ, প্রকাশচিক বারিক, ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে বীরবাহা হাঁসদা, চা বাগানের ক্ষেত্রে বলবেন মলয় ঘটক। অর্থাৎ যিনি যে বিষয়ে দক্ষ বা পারদর্শী তাঁকে সেই বিষয়ে দলের হয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর স্বাধীনতা দেওয়া হল।
একইভাবে সার্বিক বিষয়ে বলবেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ ও সুমন কা়ঞ্জিলাল।
এ রাজ্যে দলের মুখপাত্রদের সমন্বয় করবেন অরূপ বিশ্বাস। একইভাবে রাজধানী দিল্লির ক্ষেত্রে পার্টির সম্পর্কে মিডিয়াকে ব্রিফ করবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েন, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব ও সাগরিকা ঘোষ।
অর্থাৎ চাইলেই সব বিষয়ে মন্তব্য করার আর সুযোগ থাকল না নেতানেত্রীদের কাছে। শাসকদলের এমন সিদ্ধান্তকে দলের পক্ষে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের অনেকের মতে, যেভাবে দল আড়ে বহরে বাড়ছে তাতে এ ব্যাপারে রাশ টানাটা জরুরি ছিল। সুনির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ায় আলটপকা মন্তব্য করার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে দলের একাধিক নেতার মন্তব্যের জেরেই বারে বারে দলের বিড়ম্বনা বেড়েছে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।