শেষ আপডেট: 2nd January 2025 15:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য জুড়ে বালি পাচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ-প্রশাসনকে আগেই কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে বেড়েছে মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে বীরভূমের জেলা শাসককে রীতিমতো ধমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সবচেয়ে বেশি বালি পাচার ওখান থেকেই হচ্ছে।
পাশাপাশি দেউচা পাঁচামি নিয়েও এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জেলা শাসককে প্রশ্ন করেন, ‘দেউচা পাচামির যখন জমি নেওয়া হল কেন খাপছাড়া খাপছাড়া নেওয়া হল? কেন কনটিগুইটি দেখা হল না? সরকারের রেভিনিউ কেউ নিয়ে চলে যাবে আর তোমরা আঙুল গুটিয়ে বসে থাকবে এটা চলবে না।’
বীরভূমের নানুর, ময়ূরেশ্বর-সহ একাধিক জায়গা থেকেই বালি পাচারের অভিযোগ সামনে আসছে। রাতের অন্ধকারে নদীর নীচ থেকে পাইপের মাধ্যমে পাম্পের সাহায্য বালি তুলে অবাধে পাচার করা হচ্ছে বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এর ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে কারণেই বছরের প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে সমস্ত অভিযোগ সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি মনে করিয়ে দেন, বীরভূম নিয়ে তিনি একেবারেই খুশি নন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘বীরভূমে আমাদের নেতাদের কথায় এসব হচ্ছে না। ওখান থকে বিজেপির ফান্ডে টাকা যাচ্ছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।
এরপরই মমতা অভিযোগ করেন, ‘কিছু আইসি-ও যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছেন। কী করছেন দুবরাজপুর, সিউড়ি, মহম্মদবাজারের আইসি? ওঁরা কী ভাবেন কিছুই আমার নজরে নেই? আমি সবরকম খবর রাখি। মানুষের জন্য কাজ না করলে রেয়াত করা হবে না।’
অবৈধ ভাবে নদীগর্ভ থেকে যন্ত্রের সাহায্যে বালি পাচারের অভিযোগ অবশ্য বীরভূমে নতুন নয়। অজয় নদ ও ময়ূরাক্ষী নদীর পাশে রয়েছে বহু গ্রাম। ওই ভাবে বালি তুলে নেওয়ার জন্য ধস নামার আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ করে বহুবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ময়ূরাক্ষী থেকে বালি তোলার প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকেও স্থানীয় তালতলা থেকে কোটাসুর পর্যন্ত পদযাত্রা এবং পথ অবরোধ হয়েছে। তার পরেও বালি পাচার বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ।