শেষ আপডেট: 9th September 2024 14:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক মাস আগে আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবার বহুবারই এই দাবি করে বলেছেন, ক্রাইম সিন অর্থাৎ সেমিনার রুম নিয়ে তাঁদের অনেক সন্দেহ রয়েছে। এমনকি ঘটনার পরেই সেমিনার রুম সংলগ্ন দেওয়াল ভাঙা নিয়ে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।
এবার এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বললেন, 'বলা হচ্ছে যে প্রমাণ লোপাট করার জন্যই নাকি ওটা ভাঙা হয়েছে। এভিডেন্স লোপাট আমি করতে যাব কেন? কাকে বাঁচানোর জন্য? কেউ আমার বন্ধু নয়, কেউ আমার শত্রু নয়।'
এক মাস আগে, আরজি করের ঘটনার পরেই সেমিনার রুম সংলগ্ন এলাকা ভেঙে ফেলা হয় সংস্কার করার জন্য। পরে জানা যায়, সেমিনার রুম সংলগ্ন জায়গা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নিজেই। সংস্কার করে রেস্টরুম তৈরি করার কথা ছিল সেখানে।
প্রসঙ্গত, এই ভাঙচুরের পরেই তদন্তের দায়িত্বভার হাতে পায় সিবিআই। কিন্তু তার আগেই ক্রাইম সিন অর্থাৎ সেমিনার রুম নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ আরওই জোরদার হয়ে ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, হঠাৎ কেন এই ভাঙচুর? কার নির্দেশেই বা এই সংস্কার?
মুখ্যমন্ত্রী এদিন এই প্রসঙ্গে বলেন, 'অনেকে বলছেন ওখানে কেন রেস্টরুম করতে গেল! আরে ওখানে রেস্টরুম থাকলে তো আর মেয়েটিকে ওই সেমিনার রুমে যেতে হতো না।'
একথার পাশাপাশি, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যে প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সি নিয়োগ করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার জন্য, সেই সব ক্ষেত্রে যদি সিকিউরিটি এজেন্সি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে, তাহলে তাদের ব্ল্যাকলিস্টেড করা হবে। স্বাস্থ্যসচিব কে বলছি এই বিষয়ে কোন ছাড় নেই।'
তিনি আরও বলেন 'ডাক্তারবাবুরা নিজেদের দায়িত্বও অস্বীকার করতে পারেন না। সবকিছুই পুলিশকে দেখতে হবে, এটা হতে পারে না। হাসপাতালে সিকিউরিটি যে প্রাইভেট এজেন্সি নিচ্ছে সেটা তাদেরকেই দেখতে হবে।'