শেষ আপডেট: 14th September 2024 20:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এর আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েও শেষমেশ ফিরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার সন্ধেয় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েও সেই একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁরা। বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তাঁরা দাবি করেন, বৈঠকের ভিডিও রেকর্ডিং সরকার যেমন করছে, তেমনই তাঁরাও করবে।
এই দাবি নিয়ে গোঁ ধরে যখন তাঁরা প্রায় দু’ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছেন, দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী উঠোনে নেমে আসেন। তাঁর পর হাতজোড় করে তাঁদের বলেন, লক্ষ্ণী ভাইবোনরা তোমরা বাইরে দাঁড়িয়ে ভিজো না। ভিতরে এসো। তোমরা তো মিটিংয়ে আসার আগে বলোনি যে লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে বা ভিডিও রেকর্ডি করতে হবে। তোমাদের চিঠিতে তো লেখা ছিল না। আমরা যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতেও লেখা ছিল না। এর আগেও তোমাদের জন্য তিন দিন অপেক্ষা করেছি। আজও দু’ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করালেন আমাকে। আপনারা আমাকে এত অসম্মান কেন করছেন?
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁরা প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে ডাক্তারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা বলতে থাকেন, তাঁদের সতীর্থরা ধর্নাস্থলে রয়েছেন। তাঁরা দেখতে চান, বৈঠকে কী হল।
মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। সরকার ভিডিও রেকর্ডিং করবে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে তবেই রিলিজ করবে সেই ভিডিও। তা ছাড়া সরকার এটা করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বৈঠকে স্বচ্ছতা থাকবে। কার্যবিবরণী লেখা হবে। সেই কার্যবিবরণীতে আমি সই করে দেব। আপনারাও সই করবেন।
কিন্তু দেখা যায়, এর পরেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে কিছুটা হতাশ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা যখন আলোচনা করবে না তখন এলে কেন? বলেছিলে, তিরিশ জন আসবে। এলে চল্লিশ জন। কোনও মানুষের বাড়িতে কি চল্লিশ জনকে বসতে দেওয়ার জায়গা থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী এর পর বলেন, তোমরা বৈঠক না করে বাইরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছ কেন? তোমাদের শরীর খারাপ করবে। ভিতরে এসো এক কাপ চা খাও।
জবাবে সমস্বরে না না করে ওঠেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী তখন ফের বলেন, লক্ষ্ণী ভাইবোন, তোমাদের শরীর খারাপ হবে। জামা কাপড় ভিজে গেছে। কেউ চেঞ্জ করতে চাইলে বলো আমার বাড়িতে জামাকাপড় রয়েছে। কিন্তু তাও শুনতে চাননি জুনিয়র ডাক্তাররা।
এর পর দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী ফের হতাশ মুখে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান।