শেষ আপডেট: 8th December 2023 16:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবে সিলমোহর দেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরপরই সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমরা এর ঘোর নিন্দা করছি। মহুয়ার সঙ্গে দল ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে করা হল। মহুয়ার সঙ্গে সুবিচার করা হল না। ওঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হল, আবার ওঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারও করা হল।"
মহুয়া বিতর্কে গোড়া থেকে ত়ৃণমূলকে তাঁর পাশে বিশেষভাবে দেখা যায়নি। বরং বলা হয়েছিল, মহুয়ার ব্যাপারে যে সব অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সাংসদ নিজেই জবাব দেবেন। তবে শুরু থেকে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস। ক্রমশ তৃণমূল তাদের অবস্থান বদলে মহুয়ার পাশে খোলাখুলি দাঁড়ায়।
এদিন মমতা বলেন, “আমি একবার ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী বোধহয় ব্যাপারটা বিবেচনা করবেন। কিন্তু দেখলাম গণতন্ত্রের কোনও স্থানই নেই। মহুয়ার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হল, কিন্তু ওঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হল না।”
এখন বড় কৌতূহলের বিষয় হল, আগামী লোকসভা ভোটে কি মহুয়া ফের কৃষ্ণনগর থেকেই প্রার্থী হবেন? এ ব্যাপারে সরাসরি জবাব না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মহুয়া ওঁর লড়াই থামাবেন না। ওঁর কথা বলে যাবেন। তাঁর কথায়, “এই তো দু-তিন মাস, তার পর আবার যাবে।” লোকসভা ভোটের আর তিন মাস বাকি। অর্থাৎ মমতা বোঝাতে চেয়েছেন, ফের লোকসভায় যাবেন মহুয়া।
এদিন দুপুর ১২টায় লোকসভায় এথিক্স কমিটি রিপোর্ট পেশ করে। তার ২টোর সময়েই সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করে দেওয়া হয়। এই তাড়াহুড়ো নিয়ে বিরোধীরাও এদিন লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন।
কার্শিয়ংয়ে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, আধ ঘণ্টার মধ্যে কেউ ৪৭৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট পড়ে ফেলতে পারেন। ওরা সব কিছুই ঠিক করে রেখেছিল। পুরোপুরি অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ভাবে বহিষ্কার করা হল মহুয়াকে।