শেষ আপডেট: 27th March 2025 20:40
আর কিছুক্ষণ পরেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) কেলগ কলেজ ক্যাম্পাসে বক্তৃতা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Oxford)। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি বাসে করে পৌঁছে যান ক্যাম্পাসে। ঘুরে দেখএন চারপাশ, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন, এমনকি পিয়ানোও বাজান টুংটাং সুরে!
এদিন অক্সফোর্ড ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ ঘোরার পর তিনি ঢোকেন সেখানকার র্যানডল্ফ হোটেলে। সেই হোটেলের অ্যালিস লাউঞ্জে বসেন তিনি। সেখানেই রয়েছে এক সুবিশাল গ্র্যান্ড পিয়ানো। স্বভাবসুলভ কৌতূহলে ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে সেই পিয়ানোর দিকে এগিয়ে যান। তারপরেই রিডে রিডে আঙুল চালিয়ে বাজাতে শুরু করেন। ১৮৮৭ সালের ভারিক্কী সে পিয়ানোয় বেজে ওঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর (Rabindra sangeet)।
গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মমতার সঙ্গী একটি ক্যাসিও সিন্থেসাইজার। সেটি বাজিয়ে নানা জায়গায় নানা গানের সুর তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। সেটি বাজাতে জানলেই যে সহজে পিয়ানো বাজানো যায়, তা অবশ্য নয়। পিয়ানো বাজানোর পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা, যা আলাদা করেই শিখতে হয়।
তবে তা প্রথাগত ভাবে শেখা না থাকলেও, যেহেতু গানবাজনার প্রতি মমতার উৎসাহ রয়েছে, তাই এদিন বেশ সাবলীলভাবেই ওই পিয়ানোতে একের পর এক গানের সুর তোলেন তিনি। টুংটাং করে বাজান, 'আমরা করব জয়', 'প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে', 'পুরানো সেই দিনের কথা'-- এই গানগুলি।
এ গানগুলির স্বরলিপি পিয়ানোর নিখুঁত সুরে লেগেছে কিনা, তা নিয়ে হয়তো আলোচনার অবকাশ থাকবে। কিন্তু বিলেতের মাটিতে, এত বড় হোটেলের লাউঞ্জে বসে ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড পিয়ানোয় সুর তোলার অভিজ্ঞতা যে সেসবের ঊর্ধ্বে মুখ্যমন্ত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পিয়ানো বাজানোই তার নিদর্শন।
তবে ১৮৮৭ সালের এত পুরনো পিয়ানোর কয়েকটি রিড ভালভাবে কাজ করছিল না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'রিডগুলো ভালভাবে কাজ করলে আরও ভালভাবে বাজাতে পারতাম।'