শেষ আপডেট: 29th October 2024 18:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বন্যা পরিস্থিতি এবং ঘূর্ণিঝড়ের দানার প্রভাবের কারণে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৯ লক্ষের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে কৃষকদের ইস্যু থেকে শুরু করে আবাস প্রকল্প সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, কোনওভাবেই কৃষকদের বঞ্চিত করা যাবে না।
বিগত কয়েক মাসে বন্যা পরিস্থিতি এবং দানার কারণে জেলাগুলির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে কৃষি এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে জেলায় জেলায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, শস্য বীমা যোজনার পাওয়া অর্থ থেকে যেন কৃষকদের বঞ্চিত না হতে হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে কথা বলতে হবে বীমা কোম্পানিগুলির সঙ্গে। রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৬১ লক্ষ ৫৫ হাজার কৃষক ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। আর রাজ্যের ৯ লক্ষের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে কোন জেলায় কতজন কৃষকের ওপর প্রভাব পড়েছে সেই তথ্যও দিয়েছেন শোভনদেব। সেই তথ্যে দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও জেলায় ১ লক্ষর বেশি কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাজ্য়ের বিগত কয়েক সপ্তাহের পরিস্থিতির জন্য। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৯ লক্ষ ৩ হাজার ৫৪৩ জন। যদিও এই সংখ্যাটি এখনও চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করে বলেছেন, মু্খ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষতির টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কৃষক যেন বঞ্চিত না হন এটা দেখতে হবে। কারণ রাজ্য সরকার কেন্দ্রের মতো কোনও প্রকল্প করে না। রাজ্যের প্রকল্প সবসময়ে মানবিক দিকটি বজায় রেখেই হয়।
সোমবার রাত পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঝাড়গ্রামে ২৯ হাজার ৯৩৪ জন, হুগলিতে ৭৫ হাজার ২৪৫ জন, বাঁকুড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৫৫৯ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১ লক্ষ ২৩ হাজার জন, হাওড়ায় ১ হাজার ৭৯৫ জন, পূর্ব বর্ধমানে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৪৫০ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৫ হাজার ৬২৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫ হাজার ৯৬০ জন, বীরভূম ২৬ হাজার ৯৭৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।