মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 27th February 2025 13:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইনডোর স্টেডিয়ামের তৃণমূলের বর্ধিত কর্মিসভার মঞ্চ থেকে দলের নারীশক্তির প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। পাশাপাশি জানালেন, তৃণমূলের তরফে মহিলাদের যেভাবে এগিয়ে দেওয়া হয় লড়াইয়ে, যেভাবে তাঁদের শক্তিকে সম্মান করা হয়, তা অন্য কোনও দলে হয় না।
এদিন মমতা বলেন, 'লোকসভায় আমাদের মেয়ে প্রার্থীদের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ। ইলেকশনের আগে ৩৩ শতাংশ বলা হয় কমিশনের তরফে। অন্য দলগুলো দেয় না। আমরা দিই। হারা সিটে নয়, জেতা সিটে দিই। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তারা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়াই করে। সুদীপ, কল্যাণ, ডেরেকদের পাশেই লড়াই করে সাগরিকারা।'
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, '২০০৪ সালে আমাদের জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েও একটামাত্র আসন জিতি।
তারও আগে, ২০০১ সালেই আমরা ক্ষমতায় আসতাম। কংগ্রেস বিট্রে না করলে সেবারই পরিবর্তন হয়ে যেত। যে অত্যাচার, দূরাচারা করেছে, মানুষ তার বিচায় চেয়েছিল। আমরা দিনে কী করছি, রাতে কী করছি, সেটাও মানুষ দেখছে। আমি সেই কর্মীকেই চাই, যে কিছু চায় না, ভোটের দিন পিস্তলের সামনে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করে।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, 'ইলেকশনের সময়ে বিজেপি ডিএম, এসপি, বিডিওদের চেঞ্জ করে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে গ্রামে ঢুকিয়ে, বলে তৃণমূলকে ভোট দেবে না। বিজেপিকে ভোট দাও। এমন দুরবস্থা বাংলায় আগে দেখিনি। ভোট এলেই এটা বাড়়ে। সব মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে নিয়েছে।'
এখানেই শেষ নয়, মমতা বলেন, 'ইলেকশন এলেই মনে পড়ে, তৃণমূলের কাকে কাকে চার্জশিট দেবে, জেলে ভরে দেবে। ক'টা প্রমাণ করতে পেরেছেন, লজ্জা করে না, আরজি করের আজও সমাধান করতে পারলেন না, কেসের পর কেস চলছে। ফোন ট্যাপ করে, মিথ্যে কেস দেয়। ওদের টাকার জোর আছে। এজেন্সির জোর আছে। কী জোর নেই বলুন।'
এর পরেই জনতার উদ্দেশে মমতা বলেন, 'কি, আপনারা তৈরি তো?' সমস্বরে জবাব আসে, হ্যাঁ। এর পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '২৭ থেকে ২৯-এর মধ্যে বিজেপি শেষ। ২-৩ বছরের মধ্যে ওদের আয়ু শেষ। ওরা বাংলাকে টার্গেট করেছে কারণ বাকিরা কেউ লড়তে পারে না, বাংলা লড়তে পারে।'