মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 1st October 2024 18:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রাণ বিলিতে দলবাজির অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে কংগ্রেস এবং বাম জমানাতেও বন্যার সময় বারে বারে এই অভিযোগ সামনে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেও বিরোধীরা আকছার এই অভিযোগে সরব হন। এবারেও হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মুুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্য ঘিরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। মঙ্গলবার পিতৃপক্ষে শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন মঞ্চে সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির কথাও টেনে আনেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ত্রাণjর কাজে দলের ছেলেরা হাত লাগালেও তৃণমূলের নাম ব্যবহার করিনি। টোটালটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামে করা হয়েছে। একটা প্লাটফর্ম থেকেই সবটা করা হয়েছে।"
পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝাতে চেয়েছেন, দলবাজির তো প্রশ্নই নেই বরং প্রশাসনকেই সর্বতোভাবে সাহায্য করেছেন দলের কর্মীরা। এতে বন্যা দুর্গত এলাকায় সার্বিকভাবে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী
নাম না করে এদিনও ফের ডিভিসির সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মমতা বলেন, এটা ম্যান মেড বন্যা। পরিকল্পিতভাবে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করা হল। সবক'টা এলাকায় আমরা পৌঁছেছি। মানুষের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই সময় বন্যা দুর্গত এলাকায় ড্রাই ফুডটা খুব কাজে লাগে। আমাদের ছেলেদের দিয়ে সেটা করিয়েছি। চাল, ডাল, আলু, তেল, সওয়াবিন, দুধের প্যাকেট, কেক সব ওরা প্যাকিং করে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে।"
এদিন পুজোর উদ্বোধনে মমতা এও বলেন, "মানুষের মুখে হাসি না থাকলে দেবীর মুখেও হাসি থাকে না।"
বস্তুত, রাত পোহালেই মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। তবু মেদিনীপুর থেকে মালদহ কিংবা হাওড়া-হুগলির জেলার একাংশ এলাকায় বাতাসে আগমনীর সুর নেই। পরিবর্তে ভাসছে বন্যা দুর্গত মানুষের কান্না। বানভাসি জলে এক লহমায় বদলে গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনচিত্র।