শেষ আপডেট: 24th September 2024 20:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের পড়ুয়া-ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার কথায় মাথায় রেখে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে জরুরী বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ, সমস্ত জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। নাইট শিফটে কাজ করেন এমন স্বাস্থ্য কর্মীদের কথা মাথায় রেখে, বিশেষ করে মহিলাদের জন্যই ‘বিশেষ কর্মসূচি’র ভাবনা রাজ্যের।
বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সিভিল-ইলেক্ট্রিক্যাল ও আইটি আধিকারিকদেরও। সূত্রের খবর, রোগী পরিষেবা থেকে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এই মুহূর্তে ঠিক কোন পর্যায়ে, কতটা এগিয়েছে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের কাজ? এসব একাধিক বিষয় নিয়েই বৃহস্পতিবার নবান্নে আলোচনায় বসতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের থেকে তাঁদের অভাব, অভিযোগের কথা শোনার পাশাপাশি সরজমিনে পরিস্থিতি তদারকি করছেন। পাশাপাশি বন্যা কবলিত একাধিক জেলা থেকে প্রশাসনিক বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন তিনি।
আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে কড়া নজর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতার। আন্দোলনকারী পড়ুয়া-ডাক্তারদের দাবি মেনে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে তৎপর রাজ্য। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মমতা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির উচ্চপদস্থ কর্তাদের কী বার্তা দেন সেদিকে নজর থাকবে।
নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে মহিলা বান্ধব সিকিউরিটি ফোর্স রাখা হবে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে। মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। সেফ জোন তৈরি করে সিসিটিভি দিয়ে তা মুড়ে ফেলা হবে।
স্থানীয় থানা কিংবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপের যোগ থাকবে। সমস্ত কর্মরত মহিলার ফোনে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক। যে কোনও এমার্জেন্সি সিচুয়েশনে হেল্পলাইন নম্বর ১০০ বা ১১২ ডায়ালেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।