শেষ আপডেট: 1 March 2024 19:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার সন্ধেয় রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন মমতা।
ঝটিতি বৈঠক শেষে বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের রাজনৈতিক জবাব দেবে দল। এই নিয়ে আমি এখানে কিছু বলব না।"
মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রোটোকল মিটিংয়ে যোগ দিতে এসেছিলেন। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এদিন মিষ্টিও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই সেকথা জানিয়ে মমতা বলেন, "বাংলার মিষ্টি দিলাম আর গল্প করলাম।"
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে যাবেন কিনা। কিন্তু আরামবাগে প্রধানমন্ত্রীর সভা শেষ হওয়ার পরে, নবান্নের গতিবিধিতে বদল দেখা যায়। এরপরই সন্ধেয় রাজভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর,. বৈঠকে বাংলার বকেয়ার বিষয়ে নিশ্চয়ই রাজ্য এবং দেশের প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে কথা হয়ে থাকবে। তবে কৌশলগত কারণেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন তা প্রকাশ করেননি বলে মনে করা হচ্ছে।
১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে গত ২ বছর ধরে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মাসে এই দাবি নিয়ে তিনি রেড রোডে ধর্নাতেও বসেছিলেন। এমনকী ১০০ দিনের বঞ্চিত শ্রমিকদের টাকা রাজ্যের কোষাগার থেকে মেটানোর ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, কেন্দ্র না দিলে আবাস যোজনার টাকাও দেবে রাজ্য।
মমতার এই কৌশল আন্দাজ করেই শুক্রবার আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “উন্নয়নের ব্যাপারে বাংলার কচ্ছপের গতি।” মোদীর অভিযোগ, কেন্দ্র দিল্লি থেকে যে টাকা পাঠাচ্ছে, তার লুটপাঠ চলছে বাংলায়। সুতরাং লোকসভা ভোটে এই লুটেরও জবাব দিতে হবে।
রাজনৈতিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে এর জবাব দেবেন সেটা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। তবে রাজভবন থেকে এ ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রোটোকলের কথা মনে করিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার রীতি মেনে প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজ্যে গেলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনিও সেই রীতি পালন করেছেন।
আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে সভা রয়েছে তৃণমূলের। সেই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মোদীর আনা অভিযোগের জবাব দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।