শেষ আপডেট: 12th November 2024 13:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার পাহাড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তাঁর সফরের নির্যাস জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমি সব সময় চাই পাহাড় ভাল থাকুক, পাহাড়ের মানুষ ভাল থাকুক। রাজবংশী, কামতাপুরী, গোর্খা-সবাই যেন ভাল থাকে।'
তখতে বসার পর থেকে একাধিকবার পাহাড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার বিভিন্ন জনজাতির উন্নয়নে একাধিক বোর্ড গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নে রয়েছে জিটিও। এদিন দুপুরে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা। স্বভাবতই, বৈঠকে পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নে একাধিক প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে। অতীতের সিদ্ধান্তগুলির ফলআপও করবেন।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, প্রশাসনিক দিক দিয়ে তো বটেই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
ওই মহলের মতে, দক্ষিণবঙ্গের মতো পাহাড়ে এখনও তৃণমূলের ততখানি শক্তিশালী সংগঠন নেই। তবে রাজনৈতিক কৌশল কাজে লাগিয়ে অনীত থাপার সাহায্যে ইতিমধ্যে পাহাড়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে শাসকদল। ফলে এদিনের বৈঠকে উন্নয়নের প্রশ্নে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা থেকে, আগামীদিনে কোন সমীকরণে পাহাড়ে এগোকে চাইবে তৃণমূল তা স্পষ্ট হতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তাই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এদিনের বৈঠকের দিকে নজর থাকবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিরও, বিশেষত পদ্ম শিবিরেরও।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিন দুপুর সাড়ে ৩টেয় জিটিএ-র সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিটিএ-র পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য জনজাতিদের জন্য তৈরি বোর্ডের সদস্যরাও।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন জনজাতিদের জন্য গঠিত বোর্ডের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি এব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছিল। একই সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়নের বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রশ্নেও সরব হতে পারেন মমতা। পাহাড়ের উন্নয়নে জিটিএ মারফত অর্থ প্রদানের বিষয়টিও এদিনের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে কোনও কোনও মহলের ধারণা।
সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছিল। কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিষয়েও কী কী কাজ হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।