শেষ আপডেট: 4 March 2024 09:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা শাসক দলের চাপ উত্তরোত্তর বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক নিয়োগ বাতিল হয়েছে। ন্যায্য চাকরির দাবিতে হওয়া আন্দোলনের উত্তাপও বাড়ছে দিনদিন। এই আবহে সোমবার তমলুক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বার্তা দিয়ে বললেন, ''আমি কারও চাকরি খাই না, খাবোও না।'' তবে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পরোক্ষভাবে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারীকে। সোমবার মমতা বলেন, ''সবচেয়ে বড় পকেটমারি স্কুল শিক্ষায় কে করেছে, ভুলে গেছেন মেদিনীপুরের লোক। ওরা চাকরি খায়, আমি চাকরি দিই। আমি কারও চাকরি খাই না, খাবোও না।'' মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, গদ্দাররাই আদালতে গিয়ে চাকরি আটকায়। তারাই সবথেকে বেশি টাকা খেয়েছে। এই জেলাতেই সবথেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
কোনও নাম না নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ''সবথেকে বেশি পেয়েছে, সবথেকে বেশি খেয়েছে যখন পার্টিতে ছিল। গরীব ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে বসে আছে। এই সাধুর সাধুগিরি আমি ছাড়াব।'' সভায় আগত মানুষের প্রতি তাঁর বার্তা, ''এই মাটিতে একদিন যদি আপনারা ইংরেজদের পরাস্ত করতে পারেন, তাহলে এই নির্বাচনে গদ্দারদের পরাস্ত করুন।'' রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা যে মন্তব্য করেছেন তাতে কারোর বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, তাঁর ক্ষোভের কেন্দ্রে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবার।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আগামী ১০ মার্চ মূলত কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধেই ব্রিগেডের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগে সোমবার ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার প্রসঙ্গ উঠল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''বারো বছর ধরে অনেক টাকা চেয়েছি আর চাইবো না। যে নেতারা বড় বড় কথা বলে তাঁরা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা করতে পারে না?'' মমতা আশ্বাস দেন, আর কেন্দ্রের কাছে টাকা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে রাজ্যেই করে দেবে এই কাজ।