শেষ আপডেট: 11th June 2024 15:01
রফিকুল জামাদার
কলকাতার মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচন হবে ১০ জুলাই। এ ব্যাপারে সোমবার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মানিকতলার প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের শীর্ষ সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে এমনিতে বিশেষ আলোচনার অবকাশ নেই। মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচনের জন্য কাকে প্রার্থী করা হবে তা আগেই স্থির করে রেখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সোমবার পরেশ পাল, কুণাল ঘোষ, অতীন ঘোষদের ডেকে মমতা জানিয়েও দিয়েছেন, কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে তাঁদের বিশেষ চিন্তিত হতে হবে না। তিনিই দেখে নেবেন।
কৌতূহলের বিষয় হল, কাকে প্রার্থী করবেন মমতা?
মানিকতলার বিধায়ক ছিলেন সাধন পান্ডে। রাজ্যে মন্ত্রী ছিলেন সাধনবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আন্দোলনের দীর্ঘ দিনের শরিক ছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মৃত্যুর পর মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচন অনিবার্য হয়ে ওঠে। কিন্তু একটি মামলার কারণে তা থমকে ছিল। সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অবিলম্বে উপ নির্বাচন করতে হবে।
তৃণমূল শীর্ষ সূত্রের মতে, সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচনে প্রার্থী করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজে পড়ার সময়ে সুপ্তি পাণ্ডে মমতার সহপাঠী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে মমতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও হৃদ্যতা রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্তি পাণ্ডে, কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং ওই এলাকার কিছু কাউন্সিলরকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের উপরের সারির এক নেতা এদিন বলেন, সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডেও ওই আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী। এখন এও হতে পারে যে সাধন পাণ্ডের স্ত্রী মমতার কাছে আবদার করতে পারেন, তাঁর মেয়েকে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু সে ক্ষেত্রে মমতা কী করবেন তা অনেকেই ঠাওর করতে পারছেন না। কারণ, শ্রেয়া পাণ্ডেকে প্রার্থী করার ব্যাপারে দলে অনাগ্রহ রয়েছে। মমতাও যে শ্রেয়াকে প্রার্থী করতে খুব আগ্রহী হবেন তাও মনে করা হচ্ছে না। ফলে সুপ্তি রাজি না হলে অন্য কাউকে প্রার্থী করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন কোনও আমলার কপালেও শিঁকে ছিঁডতে পারে।