দুলালের স্ত্রী চৈতালিও দীর্ঘদিন ধরে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। অতীতে জেলায় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী ছিলেন তিনি। একাধিক আন্দোলনেও মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলরও হন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও চৈতালি সরকার।
শেষ আপডেট: 17 May 2025 13:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বছরের শুরুতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মালদহের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি দুলাল সরকা (Dulal Sarkar)। জেলা সামলানোর পাশাপাশি ২৫ বছর ধরে ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলরও ছিলেন তিনি। এবার সেই দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকারকে (Chaitali Sarkar) মালদহ জেলার চেয়ারপার্সন পদে বসালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শুক্রবার জেলাওয়াড়ি সাংগঠনিক রদবদল করেছে তৃণমূল। শাসকদলের এই রদবদলের ব্যাপারে সবার আগে লিখেছিল দ্য ওয়াল। জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের নতুন তালিকা প্রকাশ হতে বেশ কিছু জেলায় রদবদল দেখা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মালদহ।
দুলালের স্ত্রী চৈতালিও দীর্ঘদিন ধরে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। অতীতে জেলায় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী ছিলেন তিনি। একাধিক আন্দোলনেও মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলরও হন। এবার দলের গুরু দায়িত্ব বর্তাল তাঁর কাঁধে।
দুলাল সরকারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল অবিচ্ছেদ্য। দুলাল খুন হওয়ার পর মালদহে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন মমতা। সে সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, চৈতালির পাশে থাকবে দল। চৈতালির কথায়,"দিদি সব সময় পাশে থেকেছেন। তবে এতবড় দায়িত্ব দেবেন, ভাবিনি। চেষ্টা করব, ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করার।"
এতদিন জেলায় দলের চেয়ারপার্সন ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। দলের কাজ থেকে অব্যাহতিও চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে দুলালের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য নেত্রী তাঁর স্ত্রীকে বেছে নিলেন বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।