শেষ আপডেট: 18th February 2024 15:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার বীরভূমের সিউড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জমিদাতাদের মধ্যে ১ হাজার ১৩৫ জনকে সরকারি সাহায্য তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর মধ্যে ৫৬৩ জনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক, ৩৪২ জনকে জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরির নিয়োগ পত্র ও ২৩০ জনকে গ্রুপ ডি পদে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দেউচা পাঁচামির জমিদাতাদের মধ্যে ৭হাজার ৬৮৩ জনকে ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র দিয়েছি। খনি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে এক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।"
এদিন সিউড়ির চাঁদমারি ময়দানের প্রশাসনিক সভা থেকে মোট ২১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার অর্থমূল্য ৭২৩.২৩ কোটি টাকা। শিলান্যাস করলেন ৬১০ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকার একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের। সব মিলিয়ে মোট প্রায় ১,৩৩৪ কোটি টাকা। মোট প্রায় লক্ষ মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হল। প্রায় সাত লক্ষ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হল।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে তিনটি নতুন মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করা হল বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এছাড়াও ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দেউচা পাঁচামি এলাকার জন্য ১৩২.৩৩ কেভি সাবস্টেশন নির্মান করা হচ্ছে।
গত ২ বছর ধরে ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বাংলার ২১ লক্ষ মানুষ যারা ১০০ দিনের টাকা পাননি, তাঁদের বকেয়া ২১ ফেব্রুয়ারি মেটাবে রাজ্য। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ধর্না মঞ্চ থেকে সেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য সার্ভে করতে গিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা দেখেন, সংখ্যাটা আরও প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বেশি। এরপরই ২১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১ মার্চ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ মার্চ নয়, তার আগেই ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা মিটিয়ে দেবে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একশো দিনের কাজের টাকা আমরা এই মাসের ২৬ তারিখ থেকে দিয়ে দেব।"
'আর কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা করব না' জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা কেউ বসন্তের কোকিল নই। আমরা বছরের ৩৬৫ দিন থাকি। আমরা কেউ জমিদার নই। আমরা মানুষের পাহারাদার। মানুষের সুখে দুঃখে থাকি।"